ফিফা
৬৪ দেশ নিয়ে হতে পারে ২০৩০ বিশ্বকাপ
ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বিষয়টি নিয়ে আরো বিশদ আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন।

আগামী ২০২৬ বিশ্বকাপে ৩২ থেকে ৪৮ দলে উন্নীত হওয়ার পর এবার আরো বড় স্বপ্ন দেখছে ফেডারেশন ইন্টারন্যাশনাল ডি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ফিফা)। ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক এই সংস্থা ২০৩০ বিশ্বকাপকে ৬৪ দলে পরিণত করার প্রস্তাব বিবেচনায় এনেছে।
বুধবার (৫ মার্চ) ফিফা কাউন্সিলের এক বৈঠকে আলোচনার একপর্যায়ে উরুগুয়ের ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি ইগনাসিও আলোনসো প্রথমবারের মতো প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বিষয়টি নিয়ে আরো বিশদ আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে ফিফার মুখপাত্র জানান, ‘৫ মার্চের বৈঠকের শেষ দিকে ‘বিবিধ’ আলোচনায় এক কাউন্সিল সদস্য ২০৩০ বিশ্বকাপকে ৬৪ দলে পরিণত করার প্রস্তাব দেন। যেহেতু এটি ফিফার শতবর্ষী আয়োজন, তাই আমরা প্রস্তাবটি গুরুত্বসহকারে বিশ্লেষণ করব।’
ফিফা সভাপতি ইনফান্তিনো দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই বিশ্বকাপের পরিসর বাড়ানোর পক্ষে ছিলেন। বিশ্বকাপকে দু’ বছর পরপর আয়োজনের পরিকল্পনা বাতিল হলেও ২০২৬ বিশ্বকাপে দলসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে ৪৮টিতে, যেখানে ম্যাচসংখ্যা ৬৪ থেকে বেড়ে হবে ১০৪টি।
২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা। পরের আসর ২০৩০ সালে হবে স্পেন, পর্তুগাল ও মরক্কোয়, সাথে বিশেষ শতবর্ষী ম্যাচ আয়োজন করবে উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়ে। তবে ৬৪ দল হলে আয়োজকদের জন্য এটি বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। টুর্নামেন্টের ব্যাপ্তি ছয় সপ্তাহের বেশি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে, পাশাপাশি পরিবেশগত প্রভাব নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন উঠবে।
বিশ্বকাপ সম্প্রসারণ নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে বিভিন্ন মহলে। দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর জন্য এটি বাছাইপর্বের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে দিতে পারে, যা তাদের রাজস্ব আয়ে প্রভাব ফেলবে। অন্যদিকে ইউরোপের ৫৫টি দেশের প্রায় অর্ধেকই মূল পর্বে জায়গা করে নিতে পারে। তবে এশিয়া, আফ্রিকা ও ওশেনিয়া অঞ্চল এতে সুবিধা পাবে, কারণ নতুন দলগুলোর বিশ্বকাপে অভিষেকের সুযোগ বাড়বে।
বিশ্বকাপ আরো বড় করার সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত নেয়া হবে কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।