রোমাঞ্চকর মাদ্রিদ ডার্বিতে রিয়ালের জয়
নয়া দিগন্ত অনলাইন

সর্বশেষ দু’দেখায় কেউ না জেতায় মাঠে নামার আগেই বাড়তি রোমাঞ্চ ছড়াতে থাকে মাদ্রিদ ডার্বি। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে শুরুটাও ছিল তেমনই, লড়াই হলো সমানে সমানে। তবে শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠে হাসিমুখেই মাঠ ছাড়ল রিয়াল মাদ্রিদ।
চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ ষোলোর ম্যাচে মঙ্গলবার মুখোমুখি হয় রিয়াল মাদ্রিদ ও অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। দুই নগর প্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই জমে উঠলেও রিয়ালকে আটকাতে ব্যর্থ অ্যাতলেটিকো। কার্লো আনচেলত্তির দলের জয় ২-১ গোলে।
পরিসংখ্যান পক্ষে ছিল না অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের। ২০১৪-১৭ চার আসরেই লস ব্লাঙ্কোসদের কাছে হেরে বিদায় নেয় তারা, দু’বার হারে ফাইনালে। এবার যখন ফের দেখা দু’দলের তখনো এগিয়ে থাকল রিয়ালই।
যদিও লড়াই শেষ হয়ে যায়নি। বার্নাব্যুতে অ্যাতলেটিকো বধ করলেও কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়নি। তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ১২ মার্চ দ্বিতীয় লেগ পর্যন্ত। প্রতিপক্ষের ডেরায় কাজটা মোটেও সহজ হবে না আনচেলত্তির শিষ্যদের।
এদিন ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যায় রিয়াল। দলকে এগিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রদ্রিগো। ফেদেরিকো ভালভার্দের লম্বা পাস দখলে নিয়ে বাঁ পায়ের শটে বল জড়ান জালে। লাফিয়েও বল নাগালে পাননি জ্যান ওবলাক।
রক্ষণাত্মক খেলতে থাকা সফরকারীদের রক্ষণে মিনিট কয়েকের ব্যবধানে আরো দু’বার হানা দেয় রিয়াল। দিয়েগো সিমিওনের দল খোলস ছেড়ে বের হয় আরো খানিকটা পর, ২৭ মিনিটে ভালো সুযোগও পায় তারা। তবে গোল আসেনি।
যদিও বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ৩২তম মিনিটে আলভারেজর দৃষ্টিনন্দন গোলে ফেরে সমতা। জাভি গ্যালেনের পাস দখলে নিয়ে কামাভিঙ্গাকে কাটিয়ে নেয়া তার শট রুখতে পারেননি থিবো কোর্তোয়া। ১-১ সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।
৫৩তম মিনিটে ফের বিপদে পড়তে পারতো রিয়াল, বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে যান রদ্রিগো ডি পল, কিন্তু বল পায়েই রাখতে পারেননি তিনি। অ্যাতলেটিকো না পারলেও পারে রিয়াল, দুই মিনিট পর শাণানো আক্রমণে এগিয়ে যায় তারা।
৫৫ মিনিটে রিয়ালকে কাঙ্ক্ষিত গোলটি এনে দেন ব্রাহিম দিয়াজ। ফারলেন্ড মেন্ডির পাস দখলে নিয়ে বাঁ প্রান্ত ধরে বক্সে ঢুকেন দিয়াজ। অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের পাঁচ ডিফেন্ডারের বাধা কাটিয়ে নিঁখুত শটে জাল খুঁজে নেন এই উইঙ্গার।
এগিয়ে যাওয়ার পর কোর্তোয়ার নৈপুণ্যে বেঁচে যায় রিয়াল, গ্রিজমানের কোনাকুনি ঝাঁপিয়ে রুখে দেন বেলজিয়ান গোলরদক্ষক। আর পরের মিনিটে হোসে মারিয়া হিমেনেসের শট ক্রসবারের একটু ওপর দিয়ে চলে যায়।
অন্যদিকে তিন মিনিট যোগ করা সময়ে দারুণ দুটি আক্রমণ সাজায় রিয়াল; কিন্তু একটিও কাজে লাগাতে পারেনি তারা। ফলে স্কোরলাইন ২-১ রেখেই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।