জয়ের ধারায় ফিরল আবাহনী-মোহামেডান
জয়ের ধারায় ফিরতে বেশি সময় নিলো না আবাহনী-মোহামেডান। হার দিয়ে আসর শুরু করলেও দ্বিতীয় ম্যাচেই ফিরেছে লড়াইয়ে। গুলশানকে উড়িয়ে দিয়েছে আবাহনী, মোহামেডানের জয় রূপগঞ্জের বিপক্ষে।

জয়ের ধারায় ফিরতে বেশি সময় নিলো না আবাহনী-মোহামেডান। হার দিয়ে আসর শুরু করলেও দ্বিতীয় ম্যাচেই ফিরেছে লড়াইয়ে। গুলশানকে উড়িয়ে দিয়েছে আবাহনী, মোহামেডানের জয় রূপগঞ্জের বিপক্ষে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের মুখোমুখি হয় আবাহনী। প্রথম ম্যাচে যারা চমকে দিয়েছিল, হারিয়ে দেয় তারকাখচিত মোহামেডানকে। তবে আবাহনীর সাথে হেরে গেছে ১৬২ রানের বিশাল ব্যবধানে।
বিকেএসপিতে টসে হেরে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৩২৩ রান করে আবাহনী। এতো বড় পুঁজি পেতে বড় ভূমিকা রাখেন পারভেজ ইমন। ১২৪ বলে নয়টি চার আর আটটি ছক্কায় ১২৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
মোহাম্মদ মিথুনও খেলেন বড় ইনিংস, করেন ৬৫ বলে ৭২ রান। তাছাড়া মোসাদ্দেক হোসেন ৩৫ ও জিশান আলম করেন ৩৪ রান। ১৪ বলে ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন মাহফুজুর রাব্বি। ৩ উইকেট নেন আসাদুজ্জামান পায়েল।
জবাব দিতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় গুলশান। খালিদ হাসান ৪৯, জাওয়াদ আবরার ৩৬ ও নিহাদুজ্জামান করেন ৩৫ রান। লিটন দাস ওপেন করতে নেমে ২১ বলে ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি।
বল হাতে রাকিবুল হাসান ৪ ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী নেন ৩ উইকেট।
দিনের অন্য ম্যাচে মিরপুরে রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে মাঠে নামে মোহামেডান। শুরুর ধাক্কা সামলে যারা আজ জয় তুলে নেয় ৭ উইকেটে। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে গুঁড়িয়ে যায় রূপগঞ্জ।
আগে ব্যাট করতে নেমে তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি রূপগঞ্জ। মোহামেডানের বোলারদের তোপে ৯ উইকেটে মাত্র ২২২ রান করে দলটা। আলামিন জুনিয়র করেন সর্বোচ্চ ৪১ রান। ৩৭ রান করেন তানভীর হায়দার।
এবাদত হোসেন, তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী মিরাজ নেন সমান দুইটা করে উইকেট। ১টি করে উইকেট পান আবু হায়দার রনি, মুশফিক হাসান ও রনি তালুকদার।
জবাব দিতে নেমে তামিম ইকবাল (১৪) দ্রুত ফিরলেও জয় পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। আরেক ওপেনার রনি তালুকদার করেন ৩৬ রান। সুবিধা করতে পারেননি চারে নামা আরিফুল ইসলামও (১৫)।
তবে আসল কাজটা করেন তাওহীদ হৃদয় ও মাহিদুল ইসলাম। হৃদয় মাত্র ৪৭ বলে ৭৪ ও মাহিদুল করেন ৯৭ বলে ৮১ রানে অপরাজিত থাকেন। ১১৯ রানের জুটি হয় তাদের মাঝে।
অন্যদিকে আলাউদ্দিন বাবুর অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে প্রাইম ব্যাংককে প্রথম হারের স্বাদ দিয়েছে পারটেক্স। এইদিন আগে ব্যাট করে শামীম পাটোয়ারির ৬০ বলে ৬৯, শাহাদাত দিপুর ৬১ বলে ৬৪ ও নাইম শেখের ৪৬ রানে ৮ উইকেটে ২৯৮ রান করে প্রাইম ব্যাংক।
জবাবে সাব্বির রহমানের ৫৩ ও আহরার আমিনের ৪৪ রানের পরও হারের পথেই ছিল পারটেক্স। ৪০.২ ওভারে ২১৪ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। তবে সেখান থেকে আলাউদ্দিন বাবু ম্যাচটাই ঘুরিয়ে ফেলেন।
৩২ বলে ৭৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে এনে দেন অবিশ্বাস্য জয়। ২ ওভার বাকি থাকতেই লক্ষ্য পেরিয়ে যায় পারটেক্স।