আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

বড় জয় দক্ষিণ আফ্রিকার, লাভ বাংলাদেশের

‘ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার এই ম্যাচে চোখ ছিল বাংলাদেশেরও। বাংলাদেশকে সেরা ছয়ে থাকতে জিততে হতো দক্ষিণ আফ্রিকার। তাতে টাইগারদের ঝুলিতে যোগ হতো অতিরিক্ত প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা।’

s a

নয়া দিগন্ত অনলাইন

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জয়ের দেখা পেল না ইংল্যান্ড। টানা তিন ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে আসর শেষ করলো থ্রি লায়ন্সরা। অন্য দিকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ চার নিশ্চিত করলো দক্ষিণ আফ্রিকা।

শনিবার (১ মার্চ) গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয় দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ড। যেখানে আগে ব্যাট করে ৩৮.২ ওভারে মাত্র ১৭৯ রানে অলআউট হয় থ্রি লায়ন্সরা। জবাবে ২৯.১ ওভারে ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় প্রোটিয়ারা।

ইংল্যান্ড আগে-ভাগেই বিদায় নিলেও দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ম্যাচটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ, সাথে আফগানিস্তানেরও। এই ম্যাচে সেমির ভাগ্য ঝুলে ছিল তাদের। তবে ম্যাচের প্রথম ইনিংস শেষেই সব সমীকরণ শেষ হয়।

গতকাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটা বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ায় অসম্ভব এক সমীকরণে আটকা পড়ে আফগানরা। তাদের সেমিফাইনালে যেতে হলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আজ কমপক্ষে ২০৭ রানে হারতে হতো।

তবে আগে ব্যাট করা ইংল্যান্ড ২০০ রানের আগেই গুটিয়ে যাওয়ায় সেই সমীকরণ সহজেই ভেঙে যায়। ফলে বিদায় ঘন্টা বেজে যায় আফগানদের। সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয় দক্ষিণ আফ্রিকার।

ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার এই ম্যাচে চোখ ছিল বাংলাদেশেরও। বাংলাদেশকে সেরা ছয়ে থাকতে জিততে হতো দক্ষিণ আফ্রিকার। তাতে টাইগারদের ঝুলিতে যোগ হতো অতিরিক্ত প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা।

থ্রি লায়ন্সদের ৭ উইকেটে উড়িয়ে বাংলাদেশকে সেই মোটা অঙ্কের অর্থ যেন উপহার দিলো প্রোটিয়ারা। ছয়ে থেকে আসর শেষ করায় ৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা পেল টাইগাররা। তাছাড়া অংশগ্রহণ ফি হিসেবে পেয়েছে আরো প্রায় ১ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

করাচিতে শনিবার বল হাতেই ইংলিশদের আটকে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ব্যাট হাতে বাকি কাজ সারেন ডাসেন-ক্লাসেন জুটি। ৮.২ ওভারে ৪৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর দু’জনে মিলে জয়ের কাছে পৌঁছে দেন দলকে।

রান তাড়ায় ট্রিস্টান স্টাবস ০ ও রায়ান রিকেল্টন ২৭ রান করে আউট হন। এরপর ক্লাসেন ৫৬ বলে ৬৫ রান করে আউট হলেও ৮৭ বলে ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন ডাসেন। ৭* রান করেন মিলার।

এর আগে এ দিন নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। বিদায়ী ম্যাচটায় টসেও জেতেন তিনি, নেন আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত। তবে সেই সিদ্ধান্ত পক্ষে যায়নি।

৩৭ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। ফিল সল্ট ৮ ও জেমি স্মিথ ০ রানে আউট হন। বেন ডাকেট আগ্রাসী শুরু করলেও ২৪ রানের বেশি করতে পারেননি। তাদের তিনজনের উইকেটই নেন মার্কো ইয়ানসেন।

জো রুট ও হ্যারি ব্রুক মিলে গড়েন ৬২ রানের জুটি। ব্রুককে ১৯ রানে ফিরিয়ে তাদের জুটি ভাঙেন। কেশভ মহারাজ। খানিকটা বাদে জো রুটও ৩৭ রানে বিদায় নেন। এরপর আর কেউ হুমকি হয়ে উঠতে পারেননি।

লিয়াম লিভিংস্টোন ৯, জেমি ওভারটন ১১ ও জফরা আর্চার ২৫ রান করেন। অধিনায়ক বাটলারও ইনিংস বড় করতে পারেননি, ৪৩ বলে ২১ রান করে লুঙ্গি এনগিডির শিকার তিনি।

ফলে ১৭৯ রানেই গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডপর ইনিংস। ৩টি করে উইকেট নেন ইয়ানসেন ও উইয়ান মুল্ডার, কেশভ মহারাজের দখলে ছিল ২ উইকেট।