শান্ত বাদ, নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের খোঁজে বিসিবি
নাজমুল হোসেন শান্তর টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়ার খবরটা অবশ্য পুরনো। গত বছরেই এই নিয়ে কথা খবর আসে গণমাধ্যমে। বছরের শুরুতে বোর্ড প্রধান ফারুক আহমেদও নিশ্চিত করেছিলেন সেই খবর।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ব্যর্থতার পর নাজমুল হোসেন শান্তকে ওয়ানডে অধিনায়ক রাখা হবে কি না, তা সময়ই বলবে। তবে টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বে পরিবর্তন অনেকটাই নিশ্চিত। ইতোমধ্যে তার বিকল্প হিসেবে লিটন দাসের নাম ভেসে বেড়াচ্ছে ক্রিকেট পাড়ায়।
নাজমুল হোসেন শান্তর টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়ার খবরটা অবশ্য পুরনো। গত বছরেই এই নিয়ে কথা খবর আসে গণমাধ্যমে। বছরের শুরুতে বোর্ড প্রধান ফারুক আহমেদও নিশ্চিত করেছিলেন সেই খবর।
বলেছিলেন, টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছের কথা তাকে জানিয়েছেন শান্ত। তবে এরপর বিসিবির পক্ষ থেকে তখন চূড়ান্ত কিছু জানানো হয়নি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যস্ততা না থাকায় বিসিবিরও তাড়া ছিল না।
তবে এখন সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এগিয়ে এসেছে। তাই অবধারিতভাবেই নতুন অধিনায়ক খুঁজতে হবে বিসিবিকে। ফলে ক্রিকেট পাড়ায় প্রশ্ন, তবে কে হবেন নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক?
এমনই এক প্রশ্নের জবাবে শনিবার (৮ মার্চ) মিরপুরে তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নেব। খুব শিগগির জানা যাবে। টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব করেছেন, আর যারা এখনো দলের বাইরে নয়। এ রকম কাউকে আমরা চেষ্টা করব।’
সাম্প্রতিক সময়ে নাজমুল হোসেন শান্ত বাদে টি–টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করা একমাত্র ক্রিকেটার লিটন দাস। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। সবকিছু ঠিক থাকলে লিটনই এগিয়ে সবার থেকে।
সাকিব আল হাসান নেই, তামিম ইকবালও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন আগেই। সদ্যই অবসর নিলেন মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও শেষের পথে। ফলে বিসিবি সভাপতির কাছে প্রশ্ন ছিল দলকে নতুন করে সাজানো নিয়ে।
উত্তরে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা থাকবে। আমি আগামী বিশ্বকাপে বিশ্বাস করি না। বোর্ড থেকে একটা পলিসি দেয়া হবে। আমরা বলে দেব কী চাই। ক্রিকেট অপারেশন্সের সাথে আলাপ করে চিন্তা করব আমাদের ক্রিকেটটাকে কিভাবে এগিয়ে নেয়া যায়।’