মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে আবেগাপ্লুত সাকিব-তামিম
২০২১ সালে টেস্ট ও গত বছর টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানিয়ে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তবে খেলে যাচ্ছিলেন ওয়ানডেতে, গতকাল বুধবার সেই ফরম্যাট থেকেও সরে দাঁড়ান তিনি। ফলে জাতীয় দলের জার্সিতে আর কখনোই দেখা যাবে না মাহমুদউল্লাহকে।

এক সাথে প্রায় দেড় যুগের পথচলা। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কতো প্রতিরোধ, কত পাল্টা আক্রমণের গল্প লেখা। কত সুন্দর মুহূর্ত আছে, আছে অনেক অর্জন। আছে না পাওয়ার ব্যথাও। এমন সব কিছুই একসাথে ছুঁয়ে গেছে সাকিব আল হাসান আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে।
এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি একসাথে খেলা হয়নি, তবে আগের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেই দু’জনে মিলে গড়েছিলেন ইতিহাস। হারের মুখ থেকে জোড়া শতকে দলকে উদ্ধার করেছিলেন দু’জনে, নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দেশকে এনে দেন সেমিফাইনালও।
তবে এখন তার সবকিছুই অতীত। টি-টোয়েন্টি, টেস্ট থেকে আগেই অবসর নিয়েছে, রাজনৈতিক কারণে ওয়ানডেতে সাকিবের ফেরাটা অনিশ্চিত। অন্যদিকে এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেরই ইতি টেনে বসেছেন মাহমুদউল্লাহ। ঘোষণা দিয়েছেন অবসরের।
২০২১ সালে টেস্ট ও গত বছর টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানিয়ে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তবে খেলে যাচ্ছিলেন ওয়ানডেতে, গতকাল বুধবার সেই ফরম্যাট থেকেও সরে দাঁড়ান তিনি। ফলে জাতীয় দলের জার্সিতে আর কখনোই দেখা যাবে না মাহমুদউল্লাহকে।
তার বিদায়ে আবেগাপ্লুত সাকিবসহ সকল সতীর্থরাই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে লিখছেন অনেকেই। যেখানে সাকিব লেখেন, ‘রিয়াদ ভাই, আপনার পাশে খেলা ও আপনার কাছ থেকে শেখা আমার জন্য সৌভাগ্যের। আপনি মাঠে ও মাঠের বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই উদাহরণ স্থাপন করেছেন।’
সাকিব আরো লেখেন, ‘আপনার রেকর্ডই কথা বলে। খেলার প্রতি আপনার নিষ্ঠা, স্থিতিস্থাপকতা এবং ভালোবাসার জন্য জাতি আপনার কাছে ঋণী। আল্লাহ আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে আশীর্বাদ করুন এবং নতুন যাত্রায় আপনাকে পথ দেখান।’
অন্যদিকে তামিম ইকবাল লিখেন, ‘রিয়াদ ভাই, বর্ণাঢ্য আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ করার জন্য অভিনন্দন। আপনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম স্তম্ভ। মাঠে এবং মাঠের বাইরে আমাদের অনেকের অনুপ্রেরণা।’
মুশফিকুর রহিম লেখেন, ‘এত বছর ধরে আপনার সাথে মাঠ ভাগাভাগি করে নিতে পারা সত্যিই সম্মানের। আপনার নির্দেশনা এবং একসাথে আমাদের অসংখ্য স্মৃতির জন্য ধন্যবাদ। জাতির জন্য যা করেছেন তাতে আমি অত্যন্ত গর্বিত।’