চ্যাম্পিয়নস ট্রফি

ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড

শিরোপার লড়াইয়ে প্রতিপক্ষ পেল ভারত। ইতিহাস গড়ে স্বপ্ন পূরণের খুব কাছে নিউজিল্যান্ড। দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিদায় করে ১৬ বছর পর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে তারা। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে প্রোটিয়াদের জয় ৫০ রানে।

482225800_818766560455020_2682577094816398731_n

শিরোপার লড়াইয়ে প্রতিপক্ষ পেল ভারত। ইতিহাস গড়ে স্বপ্ন পূরণের খুব কাছে নিউজিল্যান্ড। দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিদায় করে ১৬ বছর পর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে তারা। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে প্রোটিয়াদের জয় ৫০ রানে।

ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে বুধবার (৫ মার্চ) লাহোরে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয় নিউজিল্যান্ড। যেখানে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৩৬২ রানের পুঁজি পায় কিউইরা। যা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড।

রেকর্ড রান তাড়া করতে রেকর্ড গড়তে হতো দক্ষিণ আফ্রিকাকে। শুরুর দিকে বেশ চেষ্টাও করল তারা। তবে শেষ পর্যন্ত বিশাল এই রান পাহাড় তাড়া করা সম্ভব হয়নি। ৯ উইকেটে ৩১২ রান পর্যন্ত তুলেছে প্রোটিয়ারা।

রান পাহাড় গড়ার মূল কারিগর কেন উইলিয়ামসন ও রাচিন রাবিন্দ্র। তাদের আসর সর্বোচ্চ ১৬৪ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পায় দল। উইলিয়ামসন ৯৪ বলে ১০২ ও ১০১ বলে ১০৮ রান করেন রাচিন।

বিপরীতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুততম শতক হাঁকান ডেভিড মিলার। মাত্র ৬৭ বলে তিন অংকের ঘরে পৌঁছান তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত বৃথা যায় তার ইনিংস, যা কেবল হারের ব্যবধান কমায়।

রায়ান রিকেল্টন শুরুতে ১৭ রানে ফিরলেও টেম্বা বাভুমা ও ভেন ডার ডাসেন মিলে হাল ধরেন দলের৷ জুটিতে পাড় করেন তিন অংকের ঘর। ২২.২ ওভারে ১২৫ রানে ভাঙে জুটি। ৭১ বলে ৫৬ করে ফেরেন বাভুমা।

এরপর এইডেন মার্করামকে সাথে নিয়ে এগোতে থাকেন ডাসেন। তবে বেশিদূর আগায়নি তাদের দৌঁড়, ডাসেন থামেন ৬৬ বলে ৬৯ করে। দু'জনকেই ফেরান সান্টনার। দ্রুত ক্লাসেনকেও (৩) ফেরান তিনি। তাদের বিদায়ের পর ভাঙণ ধরে ইনিংসে।

মার্করাম ২৯ বলে ৩১ রানে ফেরার পর মিলার ছাড়া আর কেউ পারেননি বলার মতো কিছু করতে৷ তবে লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে একাই ঝড় তুলেন মিলার। নবম উইকেটে রাবাদার সাথে ৩৮ রান নেয়ার পর ঝড় তোলেন তিনি।

শেষ উইকেট জুটিতে এনিগিডির সাথে ২৭ বলে ৫৬ রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে। যেখানে এনগিডির রান সাকুল্যে ২ বলে ১! তাতেই শেবাগ ও বাটলারের করা ৭৭ বলে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভেঙে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির নতুন রেকর্ড গড়েন মিলার।

অধিনায়ক মিচেল সান্টনার ৪৩ রানে ৩, গ্লেন ফিলিপস ও ম্যাট হেনরি নেন দু’টি করে উইকেট।

এর আগে শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে শুরু করেন নিউজিল্যান্ডের দু’ ওপেনার উইল ইয়ং ও রাচিন। উদ্বোধনী জুটি ভাঙে লুঙ্গি এনগিডির শিকার হয়ে ইয়ং ২১ রানে বিদায় নিলে।

এরপরই এবারের আসরের সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েন রাচিন ও উইলিয়ামসন। আসরের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে রাচিন রাবাদার শিকার হলে থামে যুগলবন্দী। এরপর বেশিক্ষণ টেকেননি উইলিয়ামসনও। টম লাথামও ফেরেন দ্রুত (৪)।

৪১.১ ওভারে ২৫৭ রানে ৪ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ডে। এরপর ড্যারিয়েল মিচেল ও গ্লেন ফিলিপস মিলে পরের ৩০ বলে যোগ করেন ৫৭ রান। মিচেল ৩৭ বলে ৪৯ করে ফিরলেও ২৭ বলে সমান ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন ফিলিপস।

মিচেল ব্রেসওয়েল শেষ দিকে করেন ১২ বলে ১৬ রান। তাতে এই আসরেই অজিদের গড়া ৩৫৬ রানের সর্বোচ্চ স্কোর ইতিহাসের পাতায় স্থান নেয় কিইউরা। প্রোটিয়াদের হয়ে এনগিডি ৩ ও রাবাদা ২ উইকেট নেন।