তামিমের টানা সেঞ্চুরি
টানা জয় আবাহনী-মোহামেডানের
ডিপিএলের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি তামিমের। প্রথম ম্যাচে ২২ ও দ্বিতীয় ম্যাচে ১৪ রানে আউট হন। তবে তৃতীয় ম্যাচে ১২৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। আর আজ খেলেন ৯৪ বলে ১০৫ রানের হার না মানা ইনিংস।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়ার পর থেকেই দেখা মিলছে অন্য এক তামিম ইকবালের। হেসে চলেছে তার ব্যাট। ডিপিএলেও আছেন ছন্দে। তুলে নিলেন আসরে টানা দ্বিতীয় শতক। জয় পেয়েছে তার দল মোহামেডানও।
বুধবার বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে নামে ব্রাদার্স ও মোহামেডান। আগে ব্যাট করে এইদিন ৪৮.৪ ওভারে ১৮৭ রান তুলে ব্রাদার্স। জবাবে তামিমের শতকে ১০৩ বল হাতে রেখেই ৯ উইকেটের জয় পায় মোহামেডান।
ডিপিএলের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি তামিমের। প্রথম ম্যাচে ২২ ও দ্বিতীয় ম্যাচে ১৪ রানে আউট হন। তবে তৃতীয় ম্যাচে ১২৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। আর আজ খেলেন ৯৪ বলে ১০৫ রানের হার না মানা ইনিংস।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই মেহেদী মিরাজ (২) ফিরলেও ১৮৭ রানের জুটি গড়েন তামিম ও মাহিদুল ইসলাম। মাহিদুল ৯৬ বলে ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন। তাতে মোহামেডান পায় টানা তৃতীয় জয়।
এর আগে ব্রাদার্সকে ধসিয়ে দেন তাইজুল ইসলাম ও আবু হায়দার রনি। তাইজুল ৪ ও রনি নেন ৩ উইকেট। ব্রাদার্সের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন ইমতিয়াজ হোসেন। এছাড়া ৩২ রানের ইনিংস খেলেন আইচ মোল্লা।
এদিকে টানা তৃতীয় জয় পেয়েছে আবাহনীও। পারটেক্সকে দাঁড়াতেই দেননি তরুণ অলরাউন্ডার মাহফুজুর রহমান। তার স্পিন বিষে নীল হয়ে পারটেক্স থামে ৩৩ ওভারে, ঠিক ১০০ রানে।
অথচ আগে ব্যাট করতে নেমে তাদের শুরুটা ছিল দারুণ। ১ উইকেটে ৬৫ রান তুলে ফেলে পারটেক্স। তবে শেষ ৩৫ রান তুলতেই তারা হারায় ৯ উইকেট। জয়রাজ শেখ করেন সর্বোচ্চ ৩৬ রান, সাব্বির করেন ২৩।
১০০ রান তাড়া করতে নেমে আবাহনীর লেগেছে ১৪.৩ ওভার। জিশান আলম ও মুমিনুল হক দ্রুত ফিরলেও পারভেজ ইমন ৫০ বলে ৫৫ ও ২৭ বলে ৩৭ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন।
অন্যদিকে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ হারলো প্রাইম ব্যাংক। নাইম শেখের ৮৩ বলে ৮১ রানের ইনিংসের পরও লিজেন্ড অফ রূপগঞ্জের বিপক্ষে দেড় শ' পেরোতে যেন দম বের হয়ে যায়। বলার মতো আর রান পান কেবল শাহাদাত দিপু (২০)।
২৯.৫ ওভারে মাত্র ১৫২ রানে গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। পার্টটাইম অলরাউন্ডার সাইফ হাসান নেন ৪ উইকেট, ৩ উইকেট নেন তানজিম সাকিব। শরিফুল, শেখ মেহেদী ও তানভীর নেন একটা করে উইকেট।
জবাব দিতে নেমে সাইফ ব্যাট হাতে সুবিধা করতে না পারলেও (১৬) সমস্যা হয়নি। তানজিদ তামিম ৪৯ বলে ৬৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। ফিফটি তুলে নেন সৌম্য সরকারও, ৪০ বলে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। লিজেন্ড অফ রূপগঞ্জ পায় ৪ উইকেটের জয়।