চ্যাম্পিয়নস ট্রফি

অস্ট্রেলিয়াকে বিদায় করে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ভারত

ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুবাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয় ভারত। প্রথম সেমিফাইনালে অজিদের ৪ উইকেটে হারিয়েছে তারা। তাতে প্রথম দল হিসেবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ম্যান ইন ব্লুরা।

india-Aus

হয়তো বিশ্বকাপ ফাইনালের দুঃখ উপশম হবে না, তবে তাতে খানিকটা হলেও প্রলেপ দেয়ার উপলক্ষ পেল ভারত। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে অস্ট্রেলিয়াকে বিদায় করে মধুর প্রতিশোধ নিলো রোহিত শর্মার দল।

ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুবাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয় ভারত। প্রথম সেমিফাইনালে অজিদের ৪ উইকেটে হারিয়েছে তারা। তাতে প্রথম দল হিসেবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ম্যান ইন ব্লুরা।

দলের প্রয়োজনে এইদিন আরো একবার জ্বলে উঠেন বিরাট কোহলি। যদিও আসরে দ্বিতীয় শতক পাওয়া হয়নি, তবে তার ৯৭ হলে ৮৪ রান দূর করে সব সংশয় ও শঙ্কা। লোকেশ রাহুল-শ্রেয়াস আইয়ারও রাখেন ভূমিকা।

রান তাড়ায় অবশ্য শুরুতেই শুভমান গিলকে (৮) হারায় ভারত। এইদিনও ইনিংস বড় করতে পারেননি অধিনায়ক রোহিত, ফেরেন ২৯ বলে ২৮ করে। ৮ ওভারে ৪৩ রানে ২ উইকেট হারায় তারা। তবে এরপরই শুরু হয় কোহলি শো।

আইয়ারকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন কোহলি। তাদের তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ হয় ৯১ রান। আইয়ার ফেরেন ৬২ বলে ৪৫ করে। তবে অজিরা আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। ফিরতে দেননি কোহলি।

চতুর্থ উইকেটে অক্ষর প্যাটেলকে(২৭) নিয়ে ৪৪ ও এরপর লোকেশ রাহুলকে নিয়ে আরো ৪৭ রান যোগ করেন তিনি। একটা সময় শতকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুললেও জাম্পার শিকার হয়ে থামতে হয় ১৬ রান দূরে থাকতেই।

তবে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন রাহুল। হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন জয়ের দিকে। পান্ডিয়া ২৮ করে আউট হলেও রাহুল অপরাজিত থাকেন অজিদের বিদায় নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত। করেন ৩৪ বলে ৪২ রান।

অজিদের শুরুটাও ভালো হয়নি তেমন। তৃতীয় ওভারে মাত্র ৪ রানে ফেরেন কুপার কোনোলি। ৯ বল খেলেও পারেননি রানের খাতা খুলতে। তবে ট্রাভিস হেড ও স্টিভেন স্মিথ আশা দেখান, পরের ৩২ বলে যোগ করেন ৫০ রান।

কিন্তু হেডকে বেশিদূর এগোতে দেননি বরুণ চক্রবর্তী, ৩৩ বলে ৩৯ রানে থামান থাকে। এরপর লাবুশেনেকে নিয়ে তিন অংকের ঘরে পৌঁছান স্মিথ। লাবুশেনেও পারেননি ইনিংস বড় করতে (২৯)। দ্রুত ফেরেন জশ ইংলিশও (১১)।

এরপর ক্যারিকে নিয়ে ৫৮ বলে আরো ৫৪ রান যোগ করেন স্মিথ৷ তবে স্মিথকে ফিরিয়ে বড় ধাক্কা দেন শামি। ৯৬ বলে ৭৩ করে আউট হোন স্মিথ। এরপর ক্যারি তার ইনিংস টেনে নিলেও অন্যপ্রান্ত থেকে সুবিধা করতে পারেননি আর কেউ।

গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৫ বলে ৭, বেন ডারউইস ১৯ রান করেন। দলীয় ২৪৯ রানে ফেরেন ক্যারিও, তার ব্যাটে আসে ৫৭ বলে ৬১ রান। শেষ দিকে আর কেউ সুবিধা করতে পারেননি। শেষ ৬৬ রানে ৬ উইকেট হারায় অজিরা।

বল হাতে মোহাম্মদ শামি ৩ ও বরুণ চক্রবর্তী ও রাবিন্দ্র জাদেযা নেন ২ উইকেট।