মদের ছিটা থেকে বাঁচতে দলের সেলিব্রেশন থেকে দূরে থাকলেন শামি!
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা যখন উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা, শামি বিশেষ সে মুহূর্তে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখেন দলের সেলিব্রেশন থেকে। যেকোনো ক্রিকেটার বিশেষ সে মুহূর্তে ভেসে যেতে চাইবেন নিশ্চিত। কিন্তু শামি এক্ষেত্রে নিজেকে সংযত রাখেন।

রোববার দুবাইয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খেতাব অর্জন করেছে ভারত। তবে দলের এই জয় উদযাপনে ছিলেন না মুসলিম খেলোয়াড় মুহাম্মদ শামি। তবে তার এ না থাকার অন্য কোনো কারণ নেই, সেটা ছিল শ্যাম্পেন (একপ্রকার মদ) উদযাপনে তা যেন তার গাঁয়ে না লাগে।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা যখন উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা, শামি বিশেষ সে মুহূর্তে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখেন দলের সেলিব্রেশন থেকে। যেকোনো ক্রিকেটার বিশেষ সে মুহূর্তে ভেসে যেতে চাইবেন নিশ্চিত। কিন্তু শামি এক্ষেত্রে নিজেকে সংযত রাখেন।
ভারত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রোহিত শর্মার হাতে ট্রফি তুলে দেন আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ। রোহিতের হাতে ট্রফি দিয়েই মঞ্চ ছাড়েন আইসিসি প্রধান। ঠিক তার পরেই মঞ্চে উঠে পড়েন ভারতীয় ক্রিকেট দলের বাকি সদস্যরা। শুধু মঞ্চে ছিলেন না মুহাম্মদ শামি। কেননা তিনি জানতেন দলের কয়েকজন সতীর্থের হাতে শ্যাম্পেনের বোতল রয়েছে এবং মঞ্চে শ্যাম্পেনের ফোয়ারা উড়বে।
রোহিতের হাত থেকে ট্রফির দখল নেন কুলদীপ যাদব। সবার আগে শ্যাম্পেনের বোতল খোলেন রবীন্দ্র জাদেজা। হর্ষিত রানা ও শ্রেয়স আইয়ারের হাতেও ছিল শ্যাম্পেনের বোতল। তিনজনে বোতলের ছিপি খুলে শ্যাম্পেন ওড়াতে থাকেন। যাতে শ্যাম্পেনের ছিটে গায়ে না লাগে, সে কারণেই মঞ্চে ওঠেননি শামি। তিনি অপেক্ষা করেন সতীর্থদের শ্যাম্পেন স্নান শেষ হওয়া পর্যন্ত। সবার শেষে মঞ্চে উঠে সতীর্থদের সাথে সেলিব্রেশনে যোগ দেন শামি।
উল্লেখ্য, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল দেখতে এদিন গ্যালারিতে হাজির ছিলেন মুহাম্মদ শামির মা। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে মায়ের সাথে বিরাট কোহলির সাথে দেখা করিয়ে দেন শামি নিজে। শামির মাকে দেখামাত্রই পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন কোহলি। শামির মা-ও কোহলিকে আশীর্বাদ জানাতে বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট করেননি।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস