সেনাপ্রধান

তরুণ প্রজন্মই সুস্থ জাতি ও দেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে

কক্সবাজারের নৈসর্গিক সৌন্দর্য বিশ্বব্যাপী উপস্থাপন এবং সর্বস্তরে সুস্থতার চেতনা জাগ্রত করার লক্ষ্যে ‘রাইড ফর গ্লোরি’ এই বার্তাকে ধারণ করে, প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশন এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে মেরিন ড্রাইভ রেইস-২০২৫।

আজকের তরুণ প্রজন্মই একটি সুস্থ জাতি ও দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে কক্সবাজারের ইনানীতে মেরিন ড্রাইভ সাইক্লিং রেইসের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কক্সবাজারের নৈসর্গিক সৌন্দর্য বিশ্বব্যাপী উপস্থাপন এবং সর্বস্তরে সুস্থতার চেতনা জাগ্রত করার লক্ষ্যে ‘রাইড ফর গ্লোরি’ এই বার্তাকে ধারণ করে, প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশন এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে মেরিন ড্রাইভ রেইস-২০২৫।

এই সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় ছয়টি ক্যাটাগরিতে ২৬ জন নারী ও ৩৭৪ জন পুরুষসহ সর্বমোট ৪০০ জন দেশী-বিদেশী সাইকেলিস্ট অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতা শেষে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

এ সময় সেনা প্রধান বলেন, ‘দেশের তরুণ প্রজন্ম যেন এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি সুস্থ জাতি ও দেশ গঠনে ভূমিকা রাখে। তিনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিদেশীদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।’

দেশব্যাপী এ ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলেও জানান সেনাপ্রধান। সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, ‘কক্সবাজারের নৈসর্গিক সৌন্দর্য বিশ্বব্যাপী উপস্থাপন করতে হবে।’

বাংলাদেশ সাইক্লিং ফেডারেশন-এর অভিজ্ঞ বিচারকমণ্ডলী এই প্রতিযোগিতা আয়োজনে সার্বিক সহায়তা করেন। মেরিন ড্রাইভ রেইস-২০২৫ পর্যটন শহর হিসেবে কক্সবাজার এর ইতিবাচক ভাবমূর্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি সর্বসাধারণের মনোদৈহিক সুস্থতা বজায় রাখতে যথেষ্ট উৎসাহ ও সচেতনতা সৃষ্টি করেছে বলে মনে করছে অংশগ্রহণকারীরা।

প্রতিযোগিতায় প্রফেশনাল (১৩-৪৪ বছর) ১১০ কিলোমিটার গ্রুপে নারী ও পুরুষদের মধ্যে সেরা বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন যথাক্রমে কর্পোরাল শিল্পী খাতুন ও মিজানুর রহমান। অ্যামেচার (১৩-৪৪ বছর) ৫৫ কিলোমিটার গ্রুপে নারী ও পুরুষদের মধ্যে সেরা বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন যথাক্রমে লরা তুররিনি ও সৈয়দ মুবিন।