বিশেষ পৃষ্ঠপোষকতা করার সিদ্ধান্ত

আরচ্যারীর সাফল্যে সন্তুষ্ট ক্রীড়া উপদেষ্টা

মৌসুমী ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (কিউট) এর পৃষ্ঠপোষকতায় গাজীপুরের টঙ্গিস্থ আরচ্যারী ট্রেনিং সেন্টারে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘কিউট আন্তর্জাতিক নারী দিবস আরচ্যারী টুর্নামেন্ট’।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
n-5

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারো নারীদের নিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে বাংলাদেশ আরচ্যারী ফেডারেশন।

মৌসুমী ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (কিউট) এর পৃষ্ঠপোষকতায় গাজীপুরের টঙ্গিস্থ আরচ্যারী ট্রেনিং সেন্টারে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘কিউট আন্তর্জাতিক নারী দিবস আরচ্যারী টুর্নামেন্ট’।

টুর্নামেন্টের সমাপণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া সচিব মো: রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। এছাড়াও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো: আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ আরচ্যারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো: ফারুক ঢালী উপস্থিত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এ ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য আরচ্যারী ফেডারেশনকে ধন্যবাদ জানান যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ক্রীড়া উপদেষ্টা তার বক্তব্যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরচ্যারীর সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। আরচ্যারীর ফেডারেশনের কর্মকান্ডের প্রশংসা করেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রায় ৫৫টি ফেডারেশন আছে। এর মধ্যে কিছু কিছু ফেডারেশন আমরা খুঁজে বের করেছি যারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের সম্মান বয়ে এনেছে। তার মধ্যে আরচ্যারী ফেডারেশন অন্যতম। আরচ্যারীতে পুরুষদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নারীদের সমানতালে এগিয়ে যাওয়া বিষয়টাকে আরো সুন্দরভাবে সামনে তুলে ধরে। এজন্য আমি আরচ্যারী ফেডারেশনকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাতে চাই। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের নারী আরচ্যাররা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশকে যে অর্জন এনে দিয়েছেন সে জন্য নারী আরচ্যারদের অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই। আরচ্যারীসহ অন্যান্য খেলায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যাদের ভালো সুযোগ রয়েছে, সম্ভাবনা রয়েছে সে সব খেলাকে আমরা বিশেষভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মন্ত্রণালয় থেকে বাজেটসহ অন্যান্য বিষয়ে এসব ফেডারেশনগুলোকে আমরা সহযোগিতা করব।’

দেশের বিভিন্ন জেলা ক্রীড়া সংস্থা, বিকেএসপি, সার্ভিসেস সংস্থা ও ক্লাব মিলে মোট ১২টি দলের ৬৮ জন নারী আরচ্যার প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

মোট চারটি ইভেন্টে হয়েছে প্রতিযোগিতা। একটি স্বর্ণ, দু’টি রৌপ্য ও দু’টি ব্রোঞ্জসহ মোট পাঁচটি পদক জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)।

বিমান বাহিনী একটি স্বর্ণ ও একটি রৌপ্যসহ মোট দু’টি পদক জিতে রানার্স আপ হয়েছে।

রিকার্ভ প্রসপেক্ট ইভেন্টে স্পাইডার আরচ্যারী ক্লাবের ইসরাত জাহান তুলনা স্বর্ণ জিতেছেন।

রিকার্ভ বিগিনার্স ইভেন্টে বিকেএসপির জান্নাতুল নাইমা জিতেছেন স্বর্ণ। এছাড়া রিকার্ভ কমপেটিটিভ ইভেন্টে পুলিশ আরচ্যারী ক্লাবের ইতি খাতুন এবং কম্পাউন্ড কমপেটিটিভ ইভেন্টে বিমান বাহিনীর বন্যা আক্তার স্বর্ণ জয় করেন।

সূত্র : বাসস