রমজানের তাৎপর্য ও গুরুত্ব

moon2
নয়া দিগন্ত

আরবি বছরের শাবান মাস শেষ হয়ে রহমতে পরিপূর্ণ পবিত্র রমজান মাস আগমন করতে যাচ্ছে। আল্লাহ আমাদেরকে যেন রমজানের এই মাসকে গুরুত্ব দেয়ার তাওফিক দান করেন।

আল্লাহ তায়ালার বড় অনুগ্রহ যে তিনি আমাদেরকে মানুষ বানিয়েছেন এবং শেষ নবী হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মত বানিয়েছেন। তিনি হেদায়েত ও দুনিয়া-আখেরাতে আমাদের সফলতা লাভের জন্য পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ করেছেন। রমজান ও কোরআন সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘রমজান এমন মাস যে মাসে কোরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে।’

রমজান ইসলামী বছরের নবম মাস। এ মাসে ইসলাম ও কুফরের ঐতিহাসিক অনেক ঘটনা ঘটেছে। বদর যুদ্ধও এ মাসে সংঘটিত হয়েছে। মক্কা বিজয়ের পরে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১০ হাজার সাহাবিকে নিয়ে এ মাসেই মক্কায় গমন করেন।

এ মাস অত্যন্ত বরকতপূর্ণ মাস। কারণ এ মাসে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা সুরা বাকারায় বলেন, ‘রমজান এমন মাস, যাতে কোরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে।’

সাহাবি হজরত সালমান ফারসি রাজিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শাবান মাসের শেষ দিকে সাহাবায়ে কেরামকে একত্রিত করতেন। এরপরে রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলতের বিষয়ে আলোচনা করতেন।

এ মাসে আল্লাহ তায়ালা অনেক রহমত-বরকত অবতীর্ণ করেন। লাইলাতুল কদর নামে একটি রাত আছে এ মাসে, যা হাজারো মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। রমজানে একটি নফল আমলের সওয়াব অন্য মাসে একটি ফরজ আমল করার সমান। এছড়াও রমজানে একটি ফরজ আমল অন্য মাসে ৭০টি ফরজ আমল করার সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যায়।

রমজানের প্রথম দশকে আল্লাহর রহমত অবতীর্ণ হয়। দ্বিতীয় দশকে মাগফেরাত বা ক্ষমা লাভ করা যায়। আর তৃতীয় দশকে আল্লাহ জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। এ কারণেই নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, রমজানে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য কালিমায়ে তাইয়িবাহ বেশি বেশি পড়ো এবং অধিক পরিমানে ইস্তগেফার তথা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও। জান্নাত কামনা করো এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাও।