মাগফিরাতের দশকে ধুয়ে-মুছে যাক সব গুনাহ
রমজান আমাদের জন্য অপার সুযোগ নিয়ে এসেছে। নিজের কৃত সব গুনাহ ক্ষমা করিয়ে মহান রবের নৈকট্য অর্জনের সুযোগ। এই সুযোগকে আমরা কতটুকু কাজে লাগাতে পারছি একটু চিন্তা করা দরকার।

দেখতে দেখতে বরকতময় রমজানের প্রথম দশক শেষ হয়ে দ্বিতীয় দশক শুরু হয়ে গেছে। এ সময়ে এসে হলেও নিজের সাথে একটু বোঝাপড়া করা উচিত, রমজানের কতটুকু রহমত, বরকত এবং আল্লাহ তায়ালার ক্ষমা অর্জন করতে পারলাম। নিজরে অন্তরটাকেই বা কতটুকু পরিশুদ্ধ করতে পারলাম। আমাদের গুনাহের তো কোনো শেষ নেই। চোখ খুললেই গুনাহ। সব কাজে-কর্মে গুনাহ। এমন কোনো কাজ নেই, যেখানে আমরা নিজেকে গুনাহে না জড়িয়েছি। হালাল কাজেও গুনাহের সংমিশ্রণ ঘটিয়েছি।
রমজান আমাদের জন্য অপার সুযোগ নিয়ে এসেছে। নিজের কৃত সব গুনাহ ক্ষমা করিয়ে মহান রবের নৈকট্য অর্জনের সুযোগ। এই সুযোগকে আমরা কতটুকু কাজে লাগাতে পারছি একটু চিন্তা করা দরকার।
আল্লাহ তায়ালা আমাকে জীবন দিয়েছেন, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে কত শত নেয়ামত দিয়েছেন, এর কোনো হিসাব নেই। অথচ, দিন-রাত আমরা আল্লাহর নাফরমানি করি, অবাধ্য হই, পাপাচারে লিপ্ত হই, তবুও আল্লাহ এসব নেয়ামত বন্ধ করেন না। আমাকে সুযোগ দেন। ক্ষমা চাইলে সাথে সাথে ক্ষমা করে দেন।
সেই দয়াময় প্রভুর দরবারে এবার রমজানে অন্তত আমাদের মাথা নত হওয়া উচিত। পেছনের সব গুনাহের জন্য তওবা করা উচিত। আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে তিনি খুশি হন। আল্লাহ নিজেই নিজের নাম রেখেছেন ‘গফুর’ ও ‘গাফফার’। তিনি অতিশয় ক্ষমাশীল। আপনার গুনাহ যদি অসীমও হয়, তবুও দু’ফোটা চোখের পানি ফেলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান, তিনি ক্ষমা করে দেবেন।
অনেক সময় আমরা মনে করি, এই গুনাহের জন্য তো এর আগে আমি আল্লাহর কাছে তাওবা করে ক্ষমা চেয়েছি, এখন সেই একই গুনাহ করে আবারো কীভাবে ক্ষমা চাই?
না, এমনটা ভাববেন না। একই গুনাহ শতবার হয়ে যাক, তবুও আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ বার আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতেন। অথচ তাঁর কিন্তু ছোট-বড় কোনো গুনাহই ছিল না। তবুও তিনি এতবার ক্ষমা চাইতেন। তাহলে আমাদের কী পরিমাণ ক্ষমা চাওয়
এবার অন্তত দৃঢ়ভাবে নিয়ত করুন এ গুনাহ আর করবেন না। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন।
রমজানের দ্বিতীয় দশককে মাগফিরাত বা ক্ষমার দশক বলা হয়। আসুন না, প্রথম দশকের ত্রুটি-বিচ্যুতি ঘুচিয়ে এ দশক থেকে আরো বেশি ইবাদতে নিমঘ্ন হই। আল্লাহ তায়ালা তাওফিক দান করুন।