কোরআন নাজিলের মাস রমজান

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে ঈমানদাররা, আমি তোমাদের ওপর রমজানের রোজা ফরজ করেছি, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর ফরজ করেছিলাম। যেন তোমরা মুত্তাকি হতে পারো।-সুরা বাকারা

কোরআন
সংগৃহীত

রমজানুল মোবারক ও পবিত্র কোরআনের মাঝে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘রমজান মাস, যাতে কোরআন নাজিল করা হয়েছে। মানুষের জন্য হিদায়াত রূপে এবং পথনির্দেশনার প্রমাণ ও সত্য-মিথ্যা পার্থক্য নির্ণয়কারী হিসেবে।’ সুরা বাকারা, আয়াত : ২৮৫

রমজানে শুধু পবিত্র কোরআনই নয়, বরং অন্য আসমানী কিতাব ও সহিফাও নাজিল হয়েছে। রমজানের আগমন এবং এ মাসে যথাযথভাবে রোজা রাখা মানুষকে উঁচু স্তরের মুত্তাকি বানিয়ে দেয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে ঈমানদাররা, আমি তোমাদের ওপর রমজানের রোজা ফরজ করেছি, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর ফরজ করেছিলাম। যেন তোমরা মুত্তাকি হতে পারো।-সুরা বাকারা

কোরআন নাজিলের উদ্দেশ্য হলো বান্দাদের পথনির্দেশ করা ও তাকওয়া শেখানো। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘ওই মহিমান্বিত কিতাব, যাতে (আল্লাহর কালাম হওয়ার বিষয়ে) কোনো সন্দেহ নেই। এটি মুত্তাকিদের জন্য হেদায়াতসরূপ।’-সুরা বাকারা

আসুন, কোরআন নাজিলের এ মাসে অধিক পরিমাণে কোরআন তিলাওয়াত করি। অন্য মাসে কোরআনের একটি অক্ষর পড়লে ১০ নেকি হতো, আর রমজানে হবে কমপক্ষে ৭০ নেকি। কোরআন তিলাওয়াত করলে গুনাহ করতে করতে অন্তর যে শক্ত হয়ে যায়, তা কেটে যায়। ইবাদতের আগ্রহ তৈরি হয়। রিজিকে বরকত লাভ হয় এবং মন ও শরীর ভালো থাকে। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে পবিত্র রমজানে বেশি পরিমাণে কোরআন তিহলাওয়াত করার তাওফিক দান করুন।

বিষয়সমূহ