প্রথম রোজা : রাজধানীর মোড়ে মোড়ে ইফতারের পসরা

Untitled-1
রাজধানীর মোড়ে মোড়ে ইফতারের পসরা | সংগৃহীত

রমজানের প্রথম দিন আবারো সেই চিরচেনা রূপে ফিরে এসেছে রাজধানী ঢাকা। মূল সড়ক থেকে কানাগলি প্রতিটি মোড়ে মোড়ে জমে উঠেছে হরেক রকম পসরা সাজিয়ে বসা ইফতারের বাজার।

না শীত না উষ্ণ; প্রথম রোজার শেষ বিকেলে ইফতার নিয়ে রাজধানীতে বেড়েছে অন্য রকমের কর্মচাঞ্চল্য। কেউ ভাজছেন পিঁয়াজু, কেউবা আবার সাজাচ্ছেন বেগুনি, আলুর চপ কিংবা ডিম চপ।

বড় হাঁড়িতে হালিম নাড়ছেন হোটেল কর্মচারীরা, তার পাশেই আবার ধনিয়া। পুদিনা, লেবু, শসা, কাঁচামরিচের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ক্ষুদ্র দোকানি। দোকান বড় হোক কিংবা ছোট ছোলা বুট আর মুড়ির উপস্থিতি যেন সর্বজনীন।

যদিও বাজার দর আগের বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি কিন্তু তার বড় প্রভাব পড়েনি ইফতার সামগ্রীতে। মালিবাগ রেলগেটে ছোলা-মুড়ি বিক্রেতা শাহজাহান বলেন, ‘ছোলা-মুড়ির দামে আসেনি বড় কোনো পরিবর্তন। এছাড়া বুরিন্দা ও ঘুমনিতেও দাম পরিবর্তন হয়নি খুব একটা।’

বেগুনি-পিঁয়াজু বিক্রেতা নাসির বলেন, ‘দাম বাড়ায় বেগুনিতে বেগুনের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হচ্ছে। তবে আগের মতোই ১০ টাকা পিসে বেগুনি, ৫ টাকা পিঁয়াজু এবং ১৫ টাকায় ডিম চপ বিক্রি হচ্ছে।’

এর পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে জিলাপি এবং হালিম। রেস্তোরাঁয় বিক্রি হওয়া জিলাপির কেজি ৬০০-১ হাজার টাকা। অন্যদিকে মোড়ে মোড়ে বিক্রি হওয়ার জিলাপির দাম কেজিপ্রতি ৩৫০-৪৫০ টাকা।

এক কেজি ওজনের প্রতিবাটি গরুর মাংসের হালিম জায়গা ভেদে ১৮০০-৩০০০ টাকা। এছাড়াও বিক্রি হচ্ছে আস্ত মুরগি, খাসির রেজালা, শাহি টুকরা, জালি কাবাব, ঝাল পিঠা, চিকেন সাসলিক, চিকেন চপ, ভেজিটেবল রোলসহ নানা পদের ইফতার।

বিক্রেতারা জানান, প্রথম দিন থেকেই ইফতার পণ্যে ক্রেতাদের আগ্রহ থাকে তুঙ্গে। মূলত ছোলা-মুড়ি থেকে শুরু করে সব ধরনের ইফতারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চলে ক্রেতা-বিক্রেতাদের বিকিকিনি।

সূত্র : ইউএনবি