নির্বাচনী ট্রেনের হুইসেল বেজে গেছে, ডিসেম্বরে টার্গেট : সিইসির মন্তব্য
অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় যুক্তরাজ্য : কুক
Printed Edition

বিশেষ সংবাদদাতা
নির্বাচনী ট্রেনের হুইসেল প্রধান উপদেষ্টা বাজিয়ে দিয়েছেন। আগামী ডিসেম্বরে ভোটের টার্গেট বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, আমাদের টাইম লাইন ডিসেম্বর এটা মাথায় রেখে কাজ করছি। টাইম লাইন যাতে মিস না করি সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে যাচ্ছি। আর ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়তা করতে চায় যুক্তরাজ্য।
আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে গতকাল ব্রিটিশ হাইকমিশনারে সাথে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সিইসি এসব কথা বলেন। এ সময় ব্রিটিশ হাইকমিশনারও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। বৈঠকে সারাহ কুকের সাথে হাইকমিশনের রাজনৈতিক ও শাসনব্যবস্থা দলের প্রধান টিমোথি ডাকেট উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, উনারা (ব্রিটিশ হাইকমিশনার) এসেছিলেন সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি জানতে এবং তারা নির্বাচনে সহায়তা করতে চান। বিদেশী পর্যবেক্ষক সম্পর্কে তারা জানতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা দল নিবন্ধন, ভোটার নিবন্ধন সম্পর্কে জানিয়েছি। শিগগিরই ক্রয় প্রক্রিয়ায় যাচ্ছি। বিদেশী পর্যবেক্ষক নীতিমালা পরিবর্তন হবে না, তবে দেশিটা হবে। যথাসময়ে পর্যবেক্ষক আসার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেবো। তিনি বলেন, ডিসেম্বর টার্গেট রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছি। ডিসেম্বরে ভোট করতে হলে তো অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। আমরা যাতে ওই টাইমলাইনটা মিস না করি সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। তাদের কাছ থেকে কী ধরনের সহায়তা নিতে পারি তা বলেছি। যেমন নির্বাচনী এজেন্টরা নিয়মনীতি জানে না, একটা পার্টির কর্মী বা প্রার্থীর পরিচিতকে এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়, সে আইন-কানুন কিছু জানে না। তাদের যদি একটা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারতাম, এটা বলেছি।
নাসির উদ্দিন বলেন, এখন পর্যবেক্ষক আসবে। বাংলাদেশ সম্পর্কে জানে না এমন একজনকে কেউ নিয়ে এলো, আমাদের বাস্তবতা সম্পর্কে জানে না, তখন তাদের রিপোর্টিং তো প্রপার হবে না। পর্যবেক্ষক তো দেই আমরা রিপোর্ট করার জন্য। তিনি বলেন, এখন আইন-কানুন, নিয়ম-কানুন সম্পর্কে ধারণা যদি না থাকে, তাই তাদের আমরা অনুরোধ করেছি নির্বাচনের আগে পর্যবেক্ষকদের একটা ট্রেনিংয়ের জন্য। পর্যবেক্ষকদের দায়িত্ব কী সে সম্পর্কে ট্রেনিং, নির্বাচনের পর তাদের কী দায়িত্ব থাকতে পারে সে ট্রেনিংয়ের জন্য বলেছি। তারা বলেছে করবে। আর তারা আমাদের প্রোগ্রেস নিয়ে সন্তুষ্ট। আমরা বলেছি আপনারা হেল্প করলে ওয়েলকাম।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, নির্বাচনের ট্রেনের হুইসেল তো প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যে দিয়েছেন। ডিসেম্বরে অথবা আগামী জুনের মধ্যে নির্বাচন।
হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, আমরা আলোচনার জন্য এসেছিলাম। জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জেনেছি এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে আমরা নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করতে আগ্রহী। আমরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক ভোট চাই। এ ছাড়া তিনি অন্য কোনো প্রশ্ন নিতে চাননি।