ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থাই পারে মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে : গোলাম পরওয়ার
Printed Edition
ফুলতলা (খুলনা) সংবাদদাতা
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষকরাই এ দেশের চালিকাশক্তি। কিন্তু এ দেশের কৃষক, শ্রমিক, মজুর, মেহনতি মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। একমাত্র ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থাই পারে খেটেখাওয়া কুলি, মজুর, শ্রমিক, মেহনতি মানুষদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে। এ জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের একটি ইউনিট হলো বাংলাদেশ কৃষিজীবী শ্রমিক ইউনিয়ন। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায় না। আবার কৃষি উপকরণসহ সার ওষুধ ও কীটনাশকের দাম বাড়ায় কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়ে।
কৃষকদের বিভিন্ন দুঃখ-দুর্দশা তুলে ধরে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে সামগ্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় মহানবী সা: ঘোষিত শ্রমনীতি বাস্তবায়ন করা হবে। জাতীয় মজুরি কমিশনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কৃষক-শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ করা হবে।
মঙ্গলবার খুলনার ফুলতলা উপজেলার দামোদর ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ কৃষিজীবী শ্রমিক ইউনিয়ন, খুলনা জেলা শাখা আয়োজিত দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। জেলা সভাপতি মাওলানা শেখ কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর মাস্টার শফিকুল আলম, খুলনা জেলার প্রধান উপদেষ্টা ও জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা এমরান হোসাইন, উপদেষ্টা ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুন্সী মিজানুর রহমান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের খুলনা জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল গাওসুল আযম হাদী, মহানগর সভাপতি মো: আজিজুল ইসলাম ফারাজী, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মুন্সী মঈনুল ইসলাম, অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, জেলা জামায়াতের যুব বিভাগের সভাপতি মোস্তফা আল মুজাহিদ, জেলা জামায়াত নেতা মাস্টার সিরাজুল ইসলাম। কৃষিজীবী ইউনিয়ন খুলনা জেলার সেক্রেটারি আলামিন গোলদারের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহসভাপতি মাওলানা আকবর আলী মোড়ল, সেক্রেটারি মো: নাজিম উদ্দিন, ফুলতলা উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আ: আলীম মোল্যা, নায়েবে আমির মাওলানা শেখ ওবায়দুল্লাহ, সেক্রেটারি মাওলানা সাইফুল হাসান খান, শ্রমিক কল্যাণ নেতা আ: আলীম শেখ, মো: আসলাম সরদার, জামায়াত নেতা ইঞ্জিনিয়ার শাব্বির হোসেন, মাস্টার মফিজুল ইসলাম, মো: শরিফুল ইসলাম, হাফেজ গাজী আলামীন প্রমুখ। সম্মেলনে মাওলানা শেখ কামাল হোসেনকে সভাপতি ও মো: আল-আমিন গোলদারকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্যবিশিষ্ট খুলনা জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়।
আল্লাহভীতি অর্জনের মাধ্যমে রমজানকে কাজে লাগাতে হবে
ডুমুরিয়া (খুলনা) সংবাদদাতা জানান, অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, পবিত্র কুরআন নাজিলের মাস মাহে রমজানের পুরোপুরি হক আদায়ে সবাইকে সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে। তাকওয়া-আল্লাহভীতি অর্জনের মাধ্যমে রমজানকে কাজে লাগাতে হবে। বেশি বেশি ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে রমজানে ঈমানকে মজবুত করতে হবে। হালাল উপার্জনের মাধ্যমে নেকির পাল্লা ভারী করার উত্তম সময় হচ্ছে রমজান।
তিনি বলেন, এ মাসকে সামনে রেখে অসৎ উপায়ে মজুদদারি করা হারাম। অতিমুনাফার লোভে পণ্যসামগ্রী মজুদদারী করে জাতিকে কখনো কষ্ট দেয়া যাবে না। এটি নবীর সা: শিক্ষা। আসুন ভালো হওয়ার মুত্তাকি হওয়ার মাস রমজান এসেছে। নৈতিকভাবে যা হালাল তা অর্জনের চেষ্টা করতে হবে। এই মাসে আত্মীয়স্বজনের সাথে সদ্ব্যবহার করতে হবে। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেছেন, তোমরা মুত্তাকি হয়ে যাও। সিয়াম সাধনার মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া জাগ্রত করতে হবে। রমজানে বেশি বেশি ইবাদত বন্দেগির বদৌলতে বাকি ১১ মাস যাতে আমরা গুনাহমুক্ত জীবনযাপন করতে পারি সে দিকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। সোমবার (১০ মার্চ) খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শোভনা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। শোভনা ইউনিয়ন জামায়াত আমির মোসলেম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আবুল বাশার খানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, অ্যাডভোকেট আবু ইউসুফ মোল্লা, ডুমুরিয়া উপজেলা আমির মাওলানা মোখতার হোসাইন, নায়েবে আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, সেক্রেটারি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন জামায়াত নেতা ওয়াহিদুল ইসলাম খান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ডুমুরিয়া উপজেলা সভাপতি সামিদুল ইসলাম, শোভনা ইউনিয়ন সভাপতি শরিফুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা মাহমুদুল হাসান, জাহাঙ্গীর হোসেন, যুব বিভাগের বি এম আলমগীর প্রমুখ।