আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া অধ্যাপক এখনো বিএসএমএমইউর গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল

Printed Edition

নিজস্ব প্রতিবেদক

আদালতে জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদানকারী অধ্যাপক এখনো বিএসএমএমইউ হাসপাতালে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। শুধু তা-ই নয় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে বই লিখে জিয়াউর রহমানের চরিত্র হনন করেন। এ ছাড়া তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছেন অধ্যাপক ডা: মো: মোজাম্মেল হোসেন। বিনিময়ে তিনি বিএসএমএমইউর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। তিনি কনজারভেটিভ ডেনটিস্ট্রি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা: মো: মোজাম্মেল হোসেন (রতন)।

৫ আগস্টের পর বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী সবাইকে বিএসএমএমইউর পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হলেও মিথ্যা সাক্ষ্য দানকারী এই অধ্যাপক এখনো বিএসএমএমইউতে বহাল তবিয়তে আছেন। তিনি বিএসএমএমইউর চেয়ারম্যান পদে থাকা ছাড়াও প্রশ্ন মডারেশনও করছেন। আজ শুক্রবার এমফিল, এমপিএইচ, পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিপ্লোমা কোর্সের অ্যাডমিশন টেস্ট কনডাক্টও করবেন তিনি।

বিএসএমএমইউর শিক্ষকরা জানিয়েছেন, খুবই স্পর্শকাতর অথচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই কাজে তিনি এখনো বহাল থাকায় ক্ষোভের উদ্রেক করেছে মেডিক্যাল এই বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের শিক্ষক ও চিকিৎসকদের। হাসিনা সরকারের সময় অধ্যাপক মো: শারফুদ্দিন আহমেদের প্রশাসনের সময় এমনই কয়েকজনকে প্রশ্ন মডারেশন এবং পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হলে তাদের কয়েকজন প্রশ্ন ফাঁস করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যেটা নিয়ে পরে মিডিয়ায় রিপোর্টও হয়েছে এবং বিএসএমএমইউ প্রশাসন একটি কমিটিও গঠন করেছেন বলে জানা গেছে।

আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দানকারী এই অধ্যাপক আওয়ামী ফ্যাসিস্টেদের গোঁড়া সমর্থক হওয়ায় যেকোনো সময় বিএসএমএমইউর বর্তমান প্রশাসনকে বেকায়দায় ফেলে দিতে পারেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তারা দাবি করেছেন, ফ্যাসিস্টের অন্যান্য সহযোগীকে বাদ দেয়া হলেও শহীদ জিয়া ও বেগম খালেদা জিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের চরিত্র হননকারী অধ্যাপক মোজাম্মেল বর্তমান প্রশাসনকেও যেকোনো সময় বেকায়দায় ফেলে দিতে পারেন।

বিএসএমএমইউর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই লোক শুধু রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা রটনা করেই ক্ষান্ত ছিলেন না, ক্ষমতাকে ব্যবহার করে নিজ অনুষদের অন্য বিভাগের শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও কুৎসা করেছেন ফেসবুকে। বিভাগের চিকিৎসকদের কাছে এসবের রেকর্ড রয়েছে।

আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দানের ব্যাপারে জানতে চাইলে মোজাম্মেল হোসেন নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘১৯৬৫ সালে আমার জন্ম। ১৯৭১ সালে আমার বয়স ছয় ছিল। আমি মানুষের কাছে যা জানতে পেরেছি সেগুলো আদালতে বলেছি।’ আদালতে কী বলেছেন জানতেই চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ট্রাইব্যুনালে আমার সাক্ষ্য জমা দিয়েছি। আপনি সেখান থেকে নিয়ে আসুন’ এর বেশি কিছু বলতে চাননি।