শেখ হাসিনা এখনো ষড়যন্ত্র করছেন
অথচ বুঝতে পারছেন না যে, দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। দেশ সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে এগোচ্ছে। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার শুভ লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। শেখ হাসিনা তার পিতা থেকে কোনো শিক্ষা গ্রহণ করেননি। নিজের ছেলেমেয়েকে রাজি করাতে না পেরে বোনকে ক্ষমতার ভাগীদার বানাতে নিয়ে যান ভারতে। তার পলায়নের দৃশ্য বারবার টিভিতে দেখানো হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে।

শেখ হাসিনা নিজ দলের কোনো উপকার করেননি। কিংবা বলা যায়, উপকারে আসেননি। তিনি পালিয়ে গেছেন গত বছর ৫ আগস্ট। সাথে করে নিয়ে গেছেন নিজের বোনকে। শেখ হাসিনার অপকর্ম এত বেশি যে, তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ এতবড় সংগঠন হওয়া সত্ত্বেও তেমন কোনো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি নৈতিকভাবে ধসে পড়ায়। শেখ হাসিনার কর্মসূচি তাদের জন্য হিতে বিপরীত হয়েছে। এত নেতাকর্মী গেল কোথায়? পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পরে একই অবস্থা হয়েছিল। তখনো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। শেখ মুজিব জীবিত থাকলে ভারতে যেতেন কি না তা বলা না গেলেও ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে টিকতে না পেড়ে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছেন। তার স্বৈরশাসনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বারবার বলছেন, তিনি স্বৈরশাসক। শেখ হাসিনাকে এখন ফ্যাসিস্ট ও একনায়ক হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। তিনি সত্যিকার অর্থে তাই ছিলেন।
কর্নেল ফারুক খান ও কামাল মজুমদার এ দু’জন আওয়ামী লীগের দলীয় মন্ত্রী থাকলেও আর এ দল করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তবু শেখ হাসিনার লজ্জা নেই। তিনি অতীত থেকে শিক্ষা নেননি। মোদির আশ্রয়ে থেকে এখনো লাফাচ্ছেন। শুধু প্রতিশোধ নিতে জানেন। কিন্তু নিজের ভুল স্বীকার করেন না। আবার গত জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডে একটু অনুতাপ বা দুঃখ প্রকাশ করেননি। অথচ দেশের মধ্যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। এ কাজে তিনি তার সাঙ্গোপাঙ্গদের কাজে লাগাচ্ছেন।
অথচ বুঝতে পারছেন না যে, দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। দেশ সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে এগোচ্ছে। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার শুভ লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। শেখ হাসিনা তার পিতা থেকে কোনো শিক্ষা গ্রহণ করেননি। নিজের ছেলেমেয়েকে রাজি করাতে না পেরে বোনকে ক্ষমতার ভাগীদার বানাতে নিয়ে যান ভারতে। তার পলায়নের দৃশ্য বারবার টিভিতে দেখানো হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে।
হাসিনা শুধু মানুষ মারতে জানেন এমন বিশ্বাসই এদেশের জনগণের। না হলে তিনি শত শত মানুষ মারতেন না। হাজার হাজার আহত করতেন না। তিনি নাকি এক মাসের মধ্যে ঢাকা আসবেন। কই এখনো কোনো খবর নেই। দিল্লি থেকে ভার্চুয়াল বক্তৃতা দিচ্ছেন ছাত্র প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে। ফেসবুকে মিথ্যা, অসৎ ও উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণা চাচ্ছেন। অপপ্রচার করছেন। তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছিলেন, ‘আমার মা এমন সব ব্যক্তিকে রক্ষী হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন যারা জান গেলেও অবস্থান ছাড়বে না, কিন্তু তারা ৫ আগস্ট গণভবন থেকে পালিয়ে গেছেন।’ স্মরণযোগ্য যে, শেখ হাসিনা গণভবনে থাকতেন। জয়ের কথা ঠিক হয়নি। জয় তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবে কত টাকা পেতেন এটা হাসিনা সরকার গোপন রেখে ছিল। জানা যায়, তিনি বিপুল অঙ্কের অর্থ পেতেন।
শেখ হাসিনা ডক্টরেট কিনেছেন এ কথা চালু ছিল। এখন সে কথার বিশ্বাসযোগ্যতা পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট কিনেছেন এমনটাই জানা যাচ্ছে! বিশেষ বিশেষ দেশ থেকে তিনি ডক্টরেট নিয়েছেন শুধু টাকার বিনিময়ে। তার দলের অন্যান্য নেতাদের সম্পর্কেও একই সন্দেহ সৃষ্টি হচ্ছে।
এখনো শেখ হাসিনা দেশে আসার স্বপ্ন বুনছেন। কিন্তু তার সে স্বপ্ন পূরণ হবে না। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার কাজ ছিল গড়ার কিন্তু শেখ হাসিনা তা করতে পারেননি। তিনি উল্টো সব কিছু ধ্বংস করে গেছেন। তিনি নির্বাচন প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছেন। গণতন্ত্রকে স্থায়ী রূপ দেয়া দূরে থাক; গণতন্ত্র যাতে স্থায়ী ভিত গাড়তে না পারে, সে ব্যবস্থা করে গেছেন। তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় দরবার করেছেন বড় পদ বাগানোর জন্য। এ জন্য অনেক টাকা খরচ করেছেন। এখন সব কিছুর তদন্ত হচ্ছে।
শেখ হাসিনাকে যারা নেত্রী বলতে পাগল, এখন তারাও মোদির আশ্রয়ে আছেন। মোদি লাজলজ্জার মাথা খেয়ে তাদের আশ্রয় দিয়েছেন। হাসিনাসহ তারা মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও তাদের মোদি ফেরত দিচ্ছেন না। তারা আসামি এবং আসামির কাঠগড়াই তাদের ঠিকানা। ওদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। লেনদেন ও অর্থপাচারের কারণে। অনেকের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আছে। কিন্তু তাদের অনেকে পালিয়ে গেছেন ভারতে। দেশে তাদের জন্য আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল স্থাপিত হয়েছে। শেখ হাসিনার সাঙ্গোপাঙ্গ অনেকে ধরা পড়েছে। দেশের মানুষ আশা করেন, তাদের সবার বিচার হবে।