ব্যক্তির দায় ও প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করা

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার তার আলোচিত বক্তব্যে নির্বাচনের বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন। তিনি ডিসেম্বর বা এর পরের কয়েক মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন। এরপর ইউরোপীয় কমিশনের প্রতিনিধিকে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূস বলেছেন, সম্ভবত ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। কিছু সংস্কারের জন্য এ নির্বাচন কয়েক মাস দেরিতেও যদি অনুষ্ঠিত হয় তাতে বড় কোনো ব্যত্যয় ঘটবে বলে মনে হয় না। তবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বড় কোনো হানাহানিতে যদি পুরো প্রক্রিয়া ভেঙে পড়ে তাহলে রাষ্ট্রের গণতন্ত্রের পথে একটি নিশ্চিত গন্তব্য অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। বলার অপেক্ষা রাখে না, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বাইরে অন্য কোনো কিছু সত্যিকার অর্থে জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকি থেকে নিরাপদ রাখতে পারবে না। সেনাপ্রধানের আশঙ্কাকে সে বিবেচনায়ও মূল্যায়ন করা যেতে পারে

Khalili-vai

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সাম্প্রতিক এক বক্তব্য নিয়ে নানামুখী আলোচনা হচ্ছে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, রাজনৈতিক শক্তিগুলো হানাহানি বন্ধ না করলে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হতে পারে। একই সাথে ব্যক্তির বাড়াবাড়ির দায় প্রতিষ্ঠানের ওপর চাপানোর বিপদ সম্পর্কেও সতর্ক করেন তিনি। ২৫ ফেব্রুয়ারি রাওয়া ক্লাবে সেনাপ্রধান যেভাবে স্পষ্ট এবং জোরালো কণ্ঠে বক্তব্য রেখেছেন সেরকমটি ৫ আগস্টের বিপ্লব ও এরপর আর দেখা যায়নি। ভাষা ও বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বিবেচনায় এই বক্তব্যকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসাবে দেখা হচ্ছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি যে দিনটিকে সামনে রেখে সেনাপ্রধান এই বক্তব্য রেখেছেন সেই দিনটি বাংলাদেশ ও এর সশস্ত্র বাহিনীর জন্য বেশ সংবেদনশীল ও কষ্টের। যুদ্ধ-সঙ্ঘাত ছাড়াই শান্তির সময়ে একদিনে এত বিপুল সংখ্যক সেনা কর্মকর্তার জীবনহানির ঘটনা শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের যেকোনো দেশেই বিরল। সেনাপ্রধানের বক্তব্যে সাধারণের দৃশ্যমান বাস্তবতার বাইরে আরো কিছু বিষয়ের প্রেরণা থেকে থাকতে পারে, যা তিনি যে পদে রয়েছেন সেই পদাধিকারীর পক্ষেই কেবল দেখা সম্ভব। তিনি যে ভাষায় বা জোরালো স্বরে কথা বলুন না কেন, পিলখানা ম্যাসাকার বিষয়ে তার বার্তা ছিল দুটি। প্রথমত, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের যে বিচারিক প্রক্রিয়া এ পর্যন্ত সংঘটিত হয়ে এসেছে সেটার নতুন সূচনা অনেক কিছুকে আনসেটেল ও অস্থির করে তুলতে পারে। এই বিচারিক প্রক্রিয়া যেভাবে চলছে তারই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকতে দেয়া উচিত। অন্য দিকে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যাযজ্ঞ চলাকালে হিন্দিতে কথা বলা বা আরো কিছু ঘটনায় ভিন্ন কোনো দেশের ষড়যন্ত্র বা সংশ্লিষ্টতা থাকার বিষয়টি জেনারেল অব: ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে যে কমিশন গঠিত হয়েছে সেই কমিশনকে দেখতে দেয়া। এই বক্তব্যের সরল বার্তা এটিই দাঁড়ায় যে, চলমান বিচারিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখে ষড়যন্ত্রের বিষয় থাকলে সেটিকে উদঘাটন করা এবং সে ক্ষেত্রে নতুন কোনো প্রক্রিয়ার প্রয়োজন হলে চলমান ব্যবস্থার পাশাপাশি সেটি করা। সেনাপ্রধানের বক্তব্যের সরল বার্তার বাইরে পিলখানা ম্যাসাকারের রহস্য উদঘাটনকে বাধাগ্রস্ত করার একটি প্রচেষ্টা বিভিন্ন সময় দৃশ্যমান হওয়ায় অনেক সময় এ বিষয়ে ভিন্ন অর্থ খোঁজার একটি প্রবণতা দেখা যায়। অন্তর্বর্তী সরকারের সময় পিলখানা নিয়ে তদন্ত কমিশন গঠনের ঘোষণার পরও এক পর্যায়ে সেখান থেকে পিছিয়ে আসার মতো কিছু ব্যত্যয় এর কারণ হতে পারে। তবে দেশের চলমান ক্রান্তিকালে সেনা নেতৃত্বের কোনো বক্তব্যের বাঁকা অর্থ খোঁজা জাতির জন্য কোনোভাবেই মঙ্গলজনক কিছু বয়ে আনবে না। সেনাপ্রধানের আরেকটি বক্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি উল্লেখ করেছেন, রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির আইনবহির্ভূত ও বাড়াবাড়িমূলক কর্মকাণ্ডের দায় ওই ব্যক্তির ওপর বর্তাবে, সেটি নিয়ে প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করে সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো উচিত নয়। সঙ্গত কারণেই এই বক্তব্যের ইতিবাচক নেতিবাচক দুই ধরনের ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। বলা যেতে পারে যে, যেসব প্রতিষ্ঠান বেআইনি কর্মকাণ্ডে ব্যবহার হয়েছে সেগুলোরও বিচার করা উচিত। এ ধরনের যুক্তি মেনে নেয়া হলে রাষ্ট্রের জন্য এক ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। পতিত স্বৈরাচার আমলে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে বেআইনি কর্মকাণ্ড ঘটেছে। গুম করে আয়নাঘরে বছরের পর বছর মানবেতরভাবে আটকে রাখা, জঙ্গি নাটক সাজিয়ে নিরীহ মানুষকে হত্যা করা, রাজনৈতিক সমাবেশে বাড়াবাড়ি ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে হতাহত করা এসব বাস্তব ঘটনা। এ ঘটনাগুলো ঘটানোর জন্য রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোতে কিছু বাছাই করা ব্যক্তিকে সে সময় বসানো হয়। আবার এসব প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালনকারী সবাই এ ধরনের দুর্বৃত্ত মানসিকতার এমন নয়, সবাই আইন ভঙ্গের ঘটনায় জড়িতও নয়। আর যেসব প্রতিষ্ঠানকে বাড়াবাড়ির কাজে ব্যবহার করা হয়েছে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সেসব প্রতিষ্ঠানের অনেক গৌরবজনক ভূমিকাও রয়েছে। এখন এসব প্রতিষ্ঠান চালানোর জন্য ইতিবাচক যোগ্য ও দেশপ্রেমিক ব্যক্তিদের বেছে নেয়ার পরিবর্তে প্রতিষ্ঠানগুলোকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো সমূহ বিপদের কারণ হতে পারে। এতে প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকারিতা হারাতে পারে। পুলিশের ক্ষেত্রে আমরা দেখি ৫ আগস্টের ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের পর এই প্রতিষ্ঠানটি এতটাই অকার্যকর হয়ে পড়ে যে, রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য ছাত্রদের নামতে হয়। আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য সেনা মোতায়েনের কোনো বিকল্প থাকেনি তখন। এখনো পুলিশের কার্যকারিতা পুরোপুরি ফেরানো সম্ভব না হওয়ায় সেনা সদস্যদের মাঠ থেকে প্রত্যাহার করা সম্ভব হয়নি। ফলে একান্ত কোনো ব্যতিক্রম ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানকে গণশত্রু চিহ্নিত করার প্রচেষ্টা রাষ্ট্রের জন্য সর্বনাশের কারণ হতে পারে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গত ৭ মাস সময়ে যেভাবে পদক্ষেপগুলো নিয়েছে তাতে এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে অগ্রসর হয়েছে বলে মনে হয়। সশস্ত্র বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদ, ডিজিএফআই, এনএসআই, র‌্যাব, বিডিআর, পুলিশ, সুপ্রিম কোর্ট, নির্বাচন কমিশন, দুদক ও জনপ্রশাসন থেকে শুরু করে সার্বিক প্রশাসনিক কাঠামোতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। রুশ ফরাসি বা চীনা বিপ্লবের মতো রাতারাতি সব পরিবর্তন বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় কাক্সিক্ষত ছিল না এবং তা বাস্তবসম্মতও হতো না। প্রশাসনে বঞ্চিত সৎ দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাদের উপরে তুলে এনে পর্যায়ক্রমে পদে বসানো হয়েছে। নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা এবং বিদ্যমান দুর্নীতিপ্রবণ সংস্কৃতির কারণে সব পদক্ষেপ শতভাগ সফল হয়তো হয়নি। তবে ব্যাংকে রক্ষিত জনগণের সম্পদ এখন আর লুট হচ্ছে না, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্রের কেনাকাটায় দুর্নীতিতে জাতীয় সম্পদের রক্তক্ষরণ হচ্ছে না। আর এ ধরনের কর্মকাণ্ডে রাষ্ট্র চালনার সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা ইন্ধন দিচ্ছেন না। যে রাষ্ট্রব্যবস্থা দ্রুত ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছিল তা রোধ করে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে ধীরে ধীরে। রাষ্ট্র সংস্কারের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তার মূল বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা গেলে রাষ্ট্রের পক্ষে যে মাত্রারই হোক না কেন গুণগত একটি পরিবর্তনের পথে এগিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। সেনাপ্রধানের বক্তব্যে বিদ্যমান কাঠামো বা ব্যবস্থাকে আঘাত না করার বার্তা এভাবে নেয়া হলে অন্তর্বর্তী সরকার বা সেনা প্রতিষ্ঠানের অবস্থানের কোনো পার্থক্য দেখা যাবে না। কথা বলার ধরন বা ভঙ্গিকে একভাবে ব্যাখ্যা করার চেয়ে বাস্তব কার্যক্রম মূল্যায়নকে গুরুত্ব দেয়া দরকার। এটি করা হলে দেখা যাবে রাষ্ট্রের সঙ্কটকালে জাতীয় নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সেনা প্রতিষ্ঠানগুলো কতটা ইতিবাচক ভূমিকা রেখে চলেছে। সেনাবাহিনী প্রধান তার আলোচিত এই বক্তব্যে জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি হানাহানি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, তা না হলে জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হতে পারে। রাজনৈতিক দল বলতে তিনি সম্ভবত বৈষম্যবিরোধী বিপ্লব বা গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর কথা বলেছেন। এই দলগুলোর মধ্যে বৃহত্তর বিষয়গুলো নিয়ে একমত হওয়া দেশের জনগণের সাধারণ কামনা। এই দলগুলোর মধ্যে মতের ভিন্নতা খুব বেশি কিছু নিয়ে নয়। কোনো কোনো দল নামমাত্র সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন প্রত্যাশা করে। অন্য কিছু দল মনে করে যে, যথাসম্ভব দ্রুত নির্বাচন প্রয়োজন। তবে দেশ যাতে আবার স্বৈরাচারের সময়ে ফিরে না যায় তার জন্য জাতীয় নির্বাচনের আগে মৌলিক সংস্কারগুলো সম্পন্ন করা প্রয়োজন। তারা স্থানীয় নির্বাচন আগে করে পরে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলছেন। যেটির বিরোধিতা করছে অন্যপক্ষ। অন্তর্বর্তী সরকারের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে তাদের কোনো বিরোধ নেই বড় আকারে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একে অন্যের প্রতি সন্দেহ সংশয় রয়েছে। এক পক্ষ মনে করে সংস্কারের নামে নির্বাচন বিলম্বিত করার অর্থ হবে বৃহত্তম রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখা। ছাত্রদের দল গঠনে পৃষ্ঠপোষকতা দান এর একটি অংশ বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। আবার অন্য পক্ষ মনে করে সংস্কার ছাড়া নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার হাতবদল পুরনো ব্যবস্থা বহাল রাখার নামান্তর হবে। আরেকটি সংশয় রাজনৈতিক পক্ষগুলোর মধ্যে রয়েছে। সেটি হলো ২০২৪ এর বিপ্লব বা গণ-অভ্যুত্থানের সময় স্বৈরাচার ফিরতে না পারা এবং আধিপত্যবাদের নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রের নীতি পরিচালিত না হওয়ার যে মূল কারণে প্রায় দুই হাজার ছাত্র-জনতা প্রাণ দিয়েছে তেমন পরিস্থিতি আবার ফিরে আসে কি না। আবারো চাঁদাবাজি লুটপাট ও আখের গোছানোর ব্যবস্থা জেঁকে বসে কি না। জনগণের এই আতঙ্ক দূর করার দায়িত্ব অবশ্যই রাজনৈতিক দলগুলোর। সরকার এখন পর্যন্ত ফ্যাসিবাদবিরোধী বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মতকে চ্যালেঞ্জ করে রাষ্ট্র চালানোর বড় কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। জাতীয় সরকার গঠন, রাষ্ট্রপতিকে তার পদে বহাল রাখা, নির্বাচনের সময়রেখা জানানো, জুলাই ঘোষণা গ্রহণ করা, সংস্কারের রূপরেখা প্রকাশÑ এসব বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দাবি-দাওয়ার প্রতি সম্মান দেখিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে হয়। আর ঐকমত্যের যে কমিশন প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে সেটিকে ইতিবাচকভাবে সহযোগিতা করা হলে সব পক্ষের সম্মিলিত চেষ্টায় দ্রুততম সময়ে নির্বাচন সম্ভব হতে পারে। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার তার আলোচিত বক্তব্যে নির্বাচনের বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন। তিনি ডিসেম্বর বা এর পরের কয়েক মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন। এরপর ইউরোপীয় কমিশনের প্রতিনিধিকে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূস বলেছেন, সম্ভবত ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। কিছু সংস্কারের জন্য এ নির্বাচন কয়েক মাস দেরিতেও যদি অনুষ্ঠিত হয় তাতে বড় কোনো ব্যত্যয় ঘটবে বলে মনে হয় না। তবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বড় কোনো হানাহানিতে যদি পুরো প্রক্রিয়া ভেঙে পড়ে তাহলে রাষ্ট্রের গণতন্ত্রের পথে একটি নিশ্চিত গন্তব্য অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। বলার অপেক্ষা রাখে না, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বাইরে অন্য কোনো কিছু সত্যিকার অর্থে জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকি থেকে নিরাপদ রাখতে পারবে না। সেনাপ্রধানের আশঙ্কাকে সে বিবেচনায়ও মূল্যায়ন করা যেতে পারে।

[email protected]