নির্বাচনই শেষ কথা নয়
আইন-কানুনসহ সব ক্ষেত্রে একটা আদর্শ বন্দোবস্ত যাতে করা যায়, কারো প্রতিবন্ধক না হয়ে সহযোগী হওয়া হবে সঠিক সিদ্ধান্ত। যেকোনো দেশ যদি শহীদ জিয়ার মতো সক্ষম দক্ষ সহাবস্থানের নীতির অনুসারী এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাষ্ট্রনায়ককে খুঁজে পায়, তবে সে দেশের উন্নয়ন কোনো শক্তিই ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। বড় দল বিএনপিকেই অনুসন্ধান করতে হবে শহীদ জিয়ার বিকল্প। শুধু বিএনপিই নয়, তাদের বাইরে যেসব দল রয়েছে তাদেরকেও বিকল্প হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করতে হবে। তাদের দক্ষ, যোগ্য এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এই মুহূর্তে সর্বাধিক আলোচ্য বিষয় হচ্ছে নির্বাচন। তার প্রতিফলন প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায়। অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের আগামী নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট একটি তারিখও প্রকাশ করেছে জনপ্রিয় একটি জাতীয় দৈনিক। উচ্চপর্যায়ের কোনো বিশ্বস্ত সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই পত্রিকাটি হয়তো এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তারপরও আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে বহু পক্ষকেই মতৈক্যে পৌঁছতে হবে। তার অন্যতম পক্ষ হচ্ছে তিনটি সরকার, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের ক্ষেত্রে এই তিন পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হলেই নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হবে। দৃশ্যত এমন সমঝোতার কোনো বৈঠক বা কোনো আলোচনার এখনো কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে অবাক হওয়ার বিষয় হচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে চাহিদাটা যাদের সব থেকে বেশি হওয়ার কথা; সেই সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমন উৎসাহ-আগ্রহ একেবারেই লক্ষ করা যাচ্ছে না। অথচ বাংলাদেশের মানুষের নির্বাচন নিয়ে উৎসাহ-উচ্ছ্বাসের কমতি অতীতে কখনো দেখা যায়নি। তবে নবম, দশম ও একাদশতম নির্বাচনকে যেহেতু কেউ-ই নির্বাচন বলে ধরে নেয়নি, সে জন্য এমন সব প্রহসন নিয়ে কারো আগ্রহ প্রকাশ করা দূরের কথা, মানুষ সেসব প্রহসনকে কেবল ঘৃণাই করেছে। যাই হোক, একটি কথা যেমন প্রচলিত দিল্লি দূরস্ত, তেমনি বাংলাদেশের নির্বাচন সম্ভবত এখনো কিছু দূরেই অবস্থান করছে। তবে নির্বাচন খুব কাছে বা দূরে যখনই হোক, নির্বাচন নিয়ে এখনই কারো কারো গা’টা অনেকটা না হোক খানিকটা তো গরম হয়ে উঠছে। তার নজিরও ওই সব পাত্র-মিত্রদের কণ্ঠে, ভাব-ভঙ্গিমায় প্রবল থেকে প্রবলতর হয়ে উঠছে। তাদের কেউ এমন কথাও বলছে, আগামীতে আমরাই ক্ষমতায় যাবো। এখানে সাত সমুদ্র তের নদীর পাড়ে অবস্থিত মার্কিন মুল্লুকের সাম্প্রতিক নির্বাচন নিয়ে সে দেশের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসকে বহু জনের গা’গরমের যথেষ্ট নিশানা বিশ্ববাসী দেখেছে। কিন্তু দিন শেষে দেখা গেল, কমলা আর গোল রইল না নির্বাচনী যন্ত্রের চাপে চিঁড়েচেপ্টা হওয়ার দশা। আসলে সত্যিকার অর্থে নির্বাচনের সময়ই একটি সম্ভাব্যতার বিষয় থাকে। ভোটে জেতার মধ্যে যদি সম্ভাবনার বিষয় না থাকে তবে সেটি আর ইলেকশন থাকে না, নিছক সিলেকশন হয়ে দাঁড়ায়। আসলে কারো গা’গরম হওয়াটা কোনো বিষয় নয়, মানুষের পছন্দটাই এখানে মুখ্য। নির্বাচনে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক পটপরিবর্তনের পর, এখন পর্যন্ত এমন ধারণাই বদ্ধমূল যে, এবারের ইলেকশন আর কোনোক্রমেই সিলেকশনের পর্যায়ে নেমে যাবে না। এর বিরুদ্ধে শুধু সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই নয়, ভোটে কোনো ফৌজদারি অপরাধ হলেই প্রবল প্রতিরোধ গড়ে উঠবে ভোটারের পক্ষ থেকে। সে জন্য এ কথা কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারেন না। আগামী নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখলের অতীত অপসংস্কৃতি চর্চার-চেষ্টা কেউ আর করতে সাহস পাবে না। এমন ধারণা আছে, এমন অপসংস্কৃতির চর্চা হলে নির্বাচন কমিশন দ্রুত ভোট বন্ধ করেও দিতে পারে। প্রাসঙ্গিক কারণেই পাকিস্তানের নির্বাচনের একটি উদাহরণ এখানে পেশ করতে চাই। বহুদিন আগের কথা, পাকিস্তানের নির্বাচন প্রত্যক্ষ করার একটা সুযোগ ঘটেছিল। সেখানে দেখা গেছে, ভোটকেন্দ্রের ২০০ গজের ভেতর, এমনকি কোনো প্রার্থীর বা অন্য কারো প্রবেশাধিকার ছিল না। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে যাওয়ার অন্যতম শর্ত ছিল ন্যাশনাল আইডি কার্ড প্রদর্শন। পাকিস্তানিরা যাকে অভিহিত করে ‘সনক্তি কার্ড’ বলে। আমাদের দেশেও এনআইডি প্রদর্শন করে কেবল ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবে। এ ছাড়া আর কারোই ভোটকেন্দ্রে প্রবেশাধিকার থাকবে না। এমন ব্যবস্থা হলে ভোট জালিয়াতির সুযোগ অনেকাংশেই কমে যাবে। যথেষ্ট নিরাপত্তার জন্য দেশের বিভাগগুলোকে ভাগ করে অন্তত দুই দিনে তথা দুই দফায় নির্বাচন হবে। তবে ফলাফল একসাথে প্রকাশ করা হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান সামান্য কিছুকাল আগে একটি কথা বলেছিলেন, এবারের নির্বাচন অনেক কঠিন হবে। তবে তাদের দল ও শুভাকাক্সক্ষীরা সেটি মনে করে কি না জানি না। তার এই কথার ব্যাখ্যা এখনো তার কাছেই সংরক্ষিত, সেটি তিনি খোলাসা করেননি। ফলে যে যার মতো করে ব্যাখ্যা করার সুযোগ আছে। এটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র-সমাজের বৈশিষ্ট্য তথা শৈলী, প্রথমত এমন ধারণাটা অনেকেই পোষণ করেন। এবারের নির্বাচনের বৈতরণী পার হওয়া কোনোক্রমেই ছেলের হাতের মোয়া নয়, জোর লড়াই হবে। এবার কেবল কারো হাতে নির্বাচনী মার্কাটা নিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার অব্যর্থ কোনো দাওয়াই হবে না। নির্বাচনী প্রতীকের পেছনের লোকটি কতটা যোগ্য-দক্ষ, বিশ্বস্ত ভোটারদের মনের ভাষা, দুঃখ-কষ্ট বোঝা, শোনার সময় ও হৃদয় আছে কি না চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হবে। এমন আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যায় না, বহু প্রার্থীর আমলনামা ভিডিও ক্লিপে ঘুরে বেড়াবে। অতীতে মানুষ নির্বাচনে কলের গান ভাঙা রেকর্ডে শুনেছে। ‘অমুক ভাইয়ের চরিত্র ফুলের মতো পবিত্র’। আসলে তিনি নায়ক না খলনায়ক এবার তার হিসাব ভোটাররা নিক্তিতে তুলে দেখবে। এবার আর জনগণ কোনো ভোট ভোট খেলা খেলতে দেবে না; বরং ভোট ভোট যুদ্ধ হবে। প্রাচীনকালে ধাতব মুদ্রা বাজিয়ে দেখা হতো, সেটি খাঁটি না গিলটি করা। অতীতের এমপিরা আসলে সবাই ছিল গিলটি করা। পতিত দলের এমপিরা তাদের নির্বাচকমণ্ডলীর কাছে অনেকটাই ছিল ‘সিজেন বার্ড’-এর মতো। নির্বাচনী এলাকায় তারা কেবল মৌসুমে মৌসুমে আনাগোনা করতেন। এবার হয়তো ভোটাররা আর কোনো সিজেন বার্ডকে ভোট দেবে না। আগেই বলা হয়েছে, এবার ভোট হবে সেয়ানে সেয়ানে, সব প্রার্থী তার প্রধান প্রতিপক্ষের যত কীর্তিগাথা ও গুণকীর্তন করতে ছাড়বে না। অতএব এখন থেকেই যারা আগামীতে নির্বাচনের প্রার্থী হতে চান তাদের হিসাব করেই পা ফেলতে হবে। এসব বক্তব্য জনাব তারেক জিয়ার একটি মন্তব্যের ওপর ভিত্তি করে লেখা হলেও অন্যদের এমন ভাবা ঠিক হবে না যে, সবাই তারা ‘ধোয়া তুলসী পাতা’। এ রচনায় যদি কেউ কোনো বার্তা খুঁজে পান তবে সেটি দলবিশেষের জন্য নয়, সবারই কল্যাণকর হতে পারে। এবার জনাব তারেকের আরো একটি মন্তব্য নিয়ে কথা বলতে চাই। তিনি তার দলের কর্মীদের বলেছেন, মানুষের মন জয় করুন। এটি শুধু কথার কথা নয়, তাদের দ্রুত নির্বাচনের অনুষ্ঠানের দাবির সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। এমন আবেদন শুধু তার দলের কর্মীদের উদ্দেশে হলেও এ আহ্বানটা হতে পারে সর্বজনীন। সব দলের কর্মীদের জন্যও এ কথাটি শোনা, সেটি থেকে শেখার ও উপলব্ধি করার যথেষ্ট উপাত্ত আছে। জনাব তারেক জিয়া দেশ থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছেন। তবে তার কাছে দেশের এবং দলের সব তথ্য-উপাত্ত না থাকলেও অধিকাংশ তার কাছে পৌঁছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। নেতাকর্মীদের চলন-বলন ও কথন নিয়ে তিনি অবহিত আছেন বলেই দলের সর্বস্তরের অনুসারীদের প্রতি তার উপরোক্ত নির্দেশের মধ্যে অন্তর্নিহিত একটি বোধ পরিষ্কার। দলের নেতাকর্মীর জনগণের কাছ থেকে কিছুটা দূরে সরে গিয়ে আত্মমুখী হয়ে ওঠার প্রবণতা হয়তো তার কর্ণগোচরে এসেছে। তিনি এখন দেশ থেকে দূরে, তাই তার পক্ষে স্থানিক বাস্তবতার ষোলআনা উপলব্ধি করার ক্ষেত্রে যৌক্তিক কারণেই ঘাটতি থাকতে পারে। তবে তার নিজস্ব সোর্স ও সোস্যাল মিডিয়ার বদৌলতে অনেক তথ্যই তিনি পান। দলের সাম্প্রতিক ঘাটতি হয়তো তাকে চিন্তিত করে তুলতেই পারে। সম্প্রতি তিনি আরো কিছু কথা বলেছেন, সামান্য বিতর্ক-বিবাদ বাধালে ফ্যাসিস্টই লাভবান হবে। বিএনপি প্রতিষ্ঠা রাষ্ট্রনায়ক শহীদ জিয়া সময়ের সংক্ষিপ্ততার কারণে দল গঠনের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক যে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া সেটি অনুসরণ করতে পারেননি, বিশেষ করে নেতা চয়নের ক্ষেত্রে গুণ-মানের দিকে লক্ষ রেখে ‘হেড হান্টিং’ করেছিলেন। ওই সময়ের জন্য এমন চয়ন অপরিহার্য ছিল, তার তাৎক্ষণিক ফায়দাও তিনি পেয়েছিলেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য রাষ্ট্রনায়ক জিয়া শাহাদতবরণের পর দ্রুত তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গেছে। হুদা, মতিন ও মান্নান ভূঁইয়ারা জিয়ার অবর্তমানে বিএনপির জন্য ভয়ঙ্কর এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। আজো কি তার জের চলমান নয়? এমন সন্দেহ এ কারণে যে, সংশ্লিষ্ট দলের নেতাদের বক্তব্য-বিবৃতির মধ্যে পারস্পরিক বিপরীতমুখিতা লক্ষ করা যায়। তা ছাড়া শহীদ জিয়া সমন্বয় ও সহাবস্থানের যে রাজনীতির ধারার প্রবর্তন করেছিলেন, সেটিও ম্লান হওয়ার পথে। রাষ্ট্রনায়ক শহীদ জিয়ার প্রবর্তিত নতুন যে রাজনৈতিক ধারার-ধারণার সূচনা হয়েছিল, সে রাজনীতির লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও চেতনা ছিল এ দেশের মাটি ও মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন। যে রাজনীতি বাংলাদেশকে একটি নতুন আইডেন্টিটি এবং জাতিকে অটুট এক ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ করেছিল। তা ছিল জাতিসত্তার অনন্য আবিষ্কার। শহীদ জিয়ার রাজনীতির অন্যতম উপাত্ত ছিল গ্রাম-গঞ্জ, নগর ও মহানগরীর সুষম উন্নয়নের এক কর্মকঠিন পথ। সুষ্ঠু শুদ্ধ সংহতির রাজনীতি, বল-বলিষ্ঠ জাতি গঠন, শৌর্যে বীর্যে আর ঐক্যের প্রতীক, সেনাদের সুসজ্জিতকরণ, আন্তর্জাতিক বলয়ে বাংলাদেশকে উচ্চতর এক মাত্রায় উত্তরণ সম্মান, শ্রদ্ধা, স্বাতন্ত্র্যের এক জনপদ হিসেবে প্রস্তুত করা ছিল শহীদ জিয়ার স্বপ্ন ও সাধনা। আজ বিএনপি নেতাকর্মীর সংখ্যা নানা কারণেই বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে যারা এই দলের মূল্যবান সম্পদ অর্থাৎ পৃষ্ঠপোষক, সমর্থক গোষ্ঠী সেখানে এখনো ভাঙনের ধ্বনি অনুরণিত হতে পারে মুষ্টিমেয় নেতাকর্মীর নানামুখী তৎপরতার কারণে। তাদের যেসব তৎপরতা লোকনিন্দা কুড়াচ্ছে, দ্রুত সেসব মেরামত না হলে নির্বাচনের ফলাফলে হতভম্ব হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। আবারো একটু পেছনে ফিরে তাকাতে চাই, এবারের নির্বাচন যেমন সহজ নয়, আবার গুরুত্বেও কোনো অংশে কম নয়। কারণ এবার হবে প্রকৃত নির্বাচন। নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার গতি দ্রুত হোক বা স্লথ উভয়ই মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। কিন্তু বিএনপি এমন নির্বাচনটা মোকাবেলা করবে কিভাবে, কাদের দিয়ে এবং কোন বলে। সেই দক্ষ যোগ্য প্রার্থী কোথায়! শেষে তাড়াহুড়ো করে হয়তো ‘হেড হান্টিং’ করা হবে। এমন পথ ধরা হলে অতীতে এর পরিণতি নিয়ে কেউ কি ভাবছে। তার উদাহরণ হাতের মুঠোয়। পতিত লীগ ডিএনএ টেস্ট করে দলে অন্তর্ভুক্ত করত, রক্তের গ্রুপ মিললেই দলে স্থান পেত। সেখানে চোর-বাটপাড়ের কোনো ভেদাভেদ ছিল না বলেই দেশে ‘চোরতন্ত্র’, ‘লুটপাটতন্ত্র’, ‘খুনতন্ত্র’ কায়েম হয়েছিল। পতিত লীগ মনে করেছিল, তারাই বাংলাদেশে ‘ডে অব জাজমেন্ট’ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে। বিএনপিও যেন কখনো না ভাবে, এবার ক্ষমতায় এলে তারাই হবে এ দেশের শেষ সরকার। গণতন্ত্র অর্থ লোকসমাজের পছন্দের প্রতিফলন। আজ বা কাল হয়তো নয়, তবে পরশু আবারো ক্ষমতা তাদের অন্য কোনো প্রতিপক্ষের হাতে যেতে পারে। তখন যেন এ দলের নেতাকর্মীদের অস্বস্তিতে পড়তে না হয়। এখন থেকেই এসব পরিমাপ করে চলা হবে সময়ের উত্তম শিক্ষা। এমন বন্দোবস্ত গড়ে তোলার এখনই সময়, যাতে ক্ষমতা ত্যাগে অকারণে হেন্স হতে না হয়। যা ছিল বিগত দেড় দশকে সাধারণ শৈলী। আইন-কানুনসহ সব ক্ষেত্রে একটা আদর্শ বন্দোবস্ত যাতে করা যায়, কারো প্রতিবন্ধক না হয়ে সহযোগী হওয়া হবে সঠিক সিদ্ধান্ত। যেকোনো দেশ যদি শহীদ জিয়ার মতো সক্ষম দক্ষ সহাবস্থানের নীতির অনুসারী এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাষ্ট্রনায়ককে খুঁজে পায়, তবে সে দেশের উন্নয়ন কোনো শক্তিই ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। বড় দল বিএনপিকেই অনুসন্ধান করতে হবে শহীদ জিয়ার বিকল্প। শুধু বিএনপিই নয়, তাদের বাইরে যেসব দল রয়েছে তাদেরকেও বিকল্প হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করতে হবে। তাদের দক্ষ, যোগ্য এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
[email protected]