উপসম্পাদকীয়
এত কথার সারমর্ম হলো অবরোধের অবসান। ‘মারি অরি পারি যে কৌশলে’। যেকোনোভাবেই হোক, অবরোধ থেকে দেশের কোটি কোটি মানুষকে বিশেষত ঢাকা শহরকে যেকোনো মূল্যেই হোক রক্ষা করতে হবে। সব কথার শেষ কথা সুশাসন কায়েম হলে, সৎ ও যোগ্য মানুষের শাসন কায়েম হলে দেশের সর্বত্রই সব অন্যায়ের একসাথে অবসান না ঘটলেও ক্রমহ্রাস ঘটবে। যথাযথ কর্তৃপক্ষ আমাদের এই আবেদনে সাড়া দেয়ার আহ্বান জানিয়ে শেষ করছি
সিরিয়ার নতুন সঙ্কট ও আশাবাদ
কুর্দি বিদ্রোহীদের সাথে সমঝোতা সিরিয়ার সঙ্কট নিরসনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। এতে লাতাকিয়ার বিদ্রোহও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে মনে হয়। এরপর গোলান সীমান্তের দ্রুজ অঞ্চল সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। ইসরাইল এই অঞ্চলের দ্রুজদের আলাদা হতে উসকানি দিচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকলে ইসরাইলের সাথে সিরিয়ার সরাসরি সংঘাতে নামা ছাড়া বিকল্প থাকবে না। আঞ্চলিক পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটলে এই সঙ্কটও সাফল্যের সাথে মোকাবেলায় সক্ষম হতে পারে সিরিয়ার নতুন সরকার
শেখ হাসিনা এখনো ষড়যন্ত্র করছেন
অথচ বুঝতে পারছেন না যে, দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। দেশ সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে এগোচ্ছে। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার শুভ লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। শেখ হাসিনা তার পিতা থেকে কোনো শিক্ষা গ্রহণ করেননি। নিজের ছেলেমেয়েকে রাজি করাতে না পেরে বোনকে ক্ষমতার ভাগীদার বানাতে নিয়ে যান ভারতে। তার পলায়নের দৃশ্য বারবার টিভিতে দেখানো হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে।
খোদার প্রেমের শরাব পিয়ে ...
আল্লাহর রবুবিয়্যতের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস মানুষকে তার উপার্জনের দাসত্ব থেকে মুক্তি দেয়। তিনি আল্লাহর প্রতিশ্রুতির প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস রাখেন। তাঁর প্রতিশ্রুতি হলো যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করে, আল্লাহ তার জন্য পথ বের করে দেন। আল্লাহ তার জন্য এমন জায়গা থেকে রিজিক প্রদান করবেন যেখানে কারো কল্পনাও পৌঁছায় না। আল্লাহর ওপর ভরসাকারী ব্যক্তির জন্য আল্লাহ যথেষ্ট। সে উপার্জনের জন্য কোনো অন্যায্য পথকে প্রশ্রয় দেয় না মোটেও
আত্মশুদ্ধি ও আত্মোপলব্ধির সোপান সিয়াম
আল্লাহর নিয়ামত স্থায়িত্বের যে নিয়ম বা মূলনীতি তা হলো কোনো ব্যক্তি বা জাতিকে যে নিয়ামত দান করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত তা ফিরিয়ে নেয়া হয় না, যে পর্যন্ত না নিজের বা নিজেদের অবস্থা ও কার্যকলাপ পরিবর্তন করে আল্লাহর আজাবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এখানে অবস্থা পরিবর্তনের অর্থ হলো ভালো ও সৎ অবস্থা বা কর্মের পরিবর্তে মন্দ অবস্থা ও কার্যকলাপ অবলম্বন করা কিংবা আল্লাহ তায়ালার নিয়ামত আগমনের সময় যেসব মন্দ ও পাপকাজে লিপ্ত ছিল নিয়ামতপ্রাপ্তির পর তার অধিক মন্দকাজে লিপ্ত হওয়া। নিয়ামতপ্রাপ্তির পর তার জন্য শুকরিয়া আদায় করা, সচেতন দায়িত্ব পালনের দ্বারা এর মর্যাদা রক্ষা করা এবং নিজেদের মধ্যে সংশোধনীয় বিষয়গুলোর ব্যাপারে সচেতন হওয়া বাঞ্ছনীয়।
বীণা সিক্রির বাংলাদেশ প্রসঙ্গ
বীণা সিক্রি একজন বিশিষ্ট ভারতীয় কূটনীতিক ও শিক্ষাবিদ। তিনি ১৯৭১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসে ছিলেন। ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনের আগে তিনি ২০০০ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় ভারতের হাইকমিশনার এবং ১৯৯৬ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত হংকংয়ে ভারতের কনসাল জেনারেল ছিলেন। সিক্রি নয়াদিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি দক্ষিণ এশিয়ায় জেন্ডার ক্ষমতায়নের ওপর একটি সংস্থা সাউথ এশিয়া উইমেনস নেটওয়ার্কের (সোয়ান) প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ও আহ্বায়ক।