অভিমত

ভারতের উচিত স্বাধীন দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে সম্মান করা এবং বাংলাদেশকে তার ন্যায্য অধিকার প্রদান করা। দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান, সমমর্যাদা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হতে হবে। বাংলাদেশকে তার ন্যায্য প্রাপ্য দিতে হবে। কিন্তু তা না করে ভারত যেসব কথা বলছে তা স্বাধীন দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে অসম্মানের শামিল

অভিমত

প্রসঙ্গ ড্যাপ : বৈষম্য উপেক্ষা নাকি প্রহসন!

ড্যাপের বিধিমালা পর্যবেক্ষণ করে আরো দেখা যায়, এর অনেক বিষয় পরস্পরবিরোধী। বর্তমান ভূমি উপদেষ্টা সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার (বাসস, ২৮ জানুয়ারি) বলেছেন, ‘ভূমির ওপর মানুষের অধিকার সর্বজনীন। মানুষের জীবন ভূমি ব্যবস্থাপনার সাথে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত।’

অভিমত

কেমন হওয়া উচিত শিক্ষাব্যবস্থা

যে শিক্ষা মানুষের আত্মা ও দেহকে এক সুন্দর সামঞ্জস্যময় পরিণতিতে পৌঁছিয়ে এ জগতের রূপ-রস-গন্ধকে নৈতিকতার সীমার মধ্যে উপভোগ করার যোগ্যতা দান করে, সেই শিক্ষাই মানুষের প্রকৃত শিক্ষা। যে শিক্ষা প্রাকৃতিক শক্তিসমূহকে মানবতার উন্নতি ও নৈতিকতার বিকাশে প্রয়োগ করতে উদ্বুদ্ধ করে, তাই মানুষের উপযোগী শিক্ষা। আর জ্ঞান-বিজ্ঞানের চরম উন্নতি দান করা সত্ত্বেও যে শিক্ষা মনুষ্যত্ব ও আত্মার উন্নতিকে ব্যাহত করে তা প্রকৃতপক্ষে মানব-ধ্বংসী শিক্ষা, তাকে কিছুতেই মানুষের উপযোগী শিক্ষা বলা চলে না

অভিমত

বৈষম্য দূরীকরণে জাকাতের ভূমিকা

ইসলামী রাষ্ট্রে জাকাত তুলতে আলাদা কর্মচারী নিয়োগ দেয়ার বিধান রয়েছে। সংগৃহীত অর্থ দিয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বেকার যুবক ও নারীদের কাজে নিয়োজিত করে তাদের স্বাবলম্বী করা যেতে পারে। জাকাত সম্পদ বাড়িয়ে দেয়। জাকাত দেয়ায় সম্পদ কোথাও জমা হয়ে থাকতে পারে না। অগণিত মানুষের হাতে পৌঁছে যায় জাকাতের অর্থ-সম্পদ। তারা তাদের চাহিদা পূরণে তা ব্যবহার করতে পারে। তারা প্রাপ্ত অর্থ-সম্পদকে বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করতে পারে। বিনিয়োগের কারণে সম্পদ এক জায়গায় পুঞ্জীভূত হয়ে থাকে না; বরং এর মাধ্যমে সম্পদ বাড়ে। ফলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ে। এতে বাজারে চাহিদা বাড়লে উৎপাদনও বাড়ে। আর উৎপাদন বাড়লে কর্মসংস্থানও বাড়ে। ফলে সমাজ থেকে বেকারত্ব ও অভাব দূর হয়। এভাবে জাকাত ইসলামী সমাজে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উন্নতি সাধন করে

অভিমত

ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় দরকার শুদ্ধাচার

রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানেই শুদ্ধাচার অনুশীলন অতি প্রয়োজনীয় বিষয়। এটি এড়িয়ে থাকার সুযোগ নেই। বিশেষ করে আর্থিক খাতে শুদ্ধাচার অনুশীলন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। আর্থিক খাত শৃঙ্খলাবদ্ধ। এখানে আর্থিক কর্মকাণ্ড নিয়ে সব বিষয়ে আবর্তিত হয় বিধায় বিশৃঙ্খলা, অনিয়ম, অসাধুতা, অনৈতিকতার চর্চা যেকোনো মূল্যে প্রতিরোধ প্রয়োজন।

অভিমত

কালের প্রেক্ষাপটে তাকওয়া : নৈতিকতা রোজা ও সভ্যতা

ইতিহাসের অন্যান্য সভ্যতা ও ধর্মেও একই ধরনের অনুশীলন পাওয়া যায়। প্রাচীন মেসোপটেমিয়ায়-‘আমার তত্ত্ব’; প্রাচীন গ্রিসে-সোফ্রোসিনের ধারণা; প্রাচীন ভারতে-ধর্মের ধারণা; প্রাচীন চীনে- তিয়ানমিং ধারণা; ইহুদি ধর্মে জেডেকের ধারণা; জরথুস্ট্রিয়ান ধর্মে আশা বা আর্তার ধারণা, খ্রিষ্টধর্মে- আগাপে ও কেনোসিসের ধারণা একই উদ্দেশ্যে কাজ করে। সামগ্রিকভাবে, রোজা বা উপবাস, একটি ঐতিহাসিক এবং আন্তঃসাংস্কৃতিক অনুশীলন হিসেবে, সরকারি নৈতিকতার ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। এটি নৈতিক শৃঙ্খলা গড়ে তোলা, সহানুভূতি বৃদ্ধি, অন্যায়কে চ্যালেঞ্জ করা, সামাজিক সংহতি গড়ে তোলা এবং নম্রতা প্রদর্শনের একটি হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে।

অভিমত