অস্ট্রেলিয়ার একটি স্কুলে মিলল ডাইনোসরের পায়ের ছাপ
জীবাশ্মবিদ অ্যান্থনি রোমিলিও বলেন, ‘এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ জীবাশ্ম বছরের পর বছর ধরে অলক্ষিত রয়েছে, এমনকি স্পষ্ট দৃষ্টিতেও। এটা ভাবতেই অবাক লাগে যে ইতিহাসের এক অংশ এতদিন স্কুলের উঠোনে শুয়ে ছিল।’

অস্ট্রেলিয়ার একটি স্কুলের ভেতরে ধুলো জমে থাকা পাথরের একটি স্ল্যাবে ডাইনোসরের পায়ের ছাপের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে বুধবার জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কুইন্সল্যান্ডের গ্রামীণ শহর ব্যানানা শায়ারের ওই স্কুলটিতে জীবাশ্মবিদ অ্যান্থনি রোমিলিও তিন-আঙ্গুলের চিহ্নের একটি গুচ্ছ পরীক্ষা করার আগ পর্যন্ত পাথরটি মূলত ২০ বছর ধরে অলক্ষিত ছিল।
রোমিলিও জানান, স্ল্যাবটিতে প্রায় ২০ কোটি বছর আগে জুরাসিক যুগের কয়েক ডজন জীবাশ্মযুক্ত পায়ের ছাপ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি প্রমাণ করে যে অস্ট্রেলিয়ায় নথিভুক্ত ডাইনোসরের পায়ের ছাপের সর্বোচ্চ ঘনত্বের একটি।’
কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রোমিলিও জানান, এটি ডাইনোসরের গতিবিধি ও আচরণের এক অভূতপূর্ব চিত্র। কারণ অস্ট্রেলিয়ায় কোনো জীবাশ্মযুক্ত ডাইনোসরের হাড় পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ জীবাশ্ম বছরের পর বছর ধরে অলক্ষিত রয়েছে, এমনকি স্পষ্ট দৃষ্টিতেও। এটা ভাবতেই অবাক লাগে যে ইতিহাসের এক অংশ এতদিন স্কুলের উঠোনে শুয়ে ছিল।’
কয়লা খনি শ্রমিকরা ২০০২ সালে স্ল্যাবটি খনন করে। অস্বাভাবিক পায়ের ছাপ দেখতে পেয়ে এটি ছোট শহর বিলোয়েলার একটি স্কুলে উপহার দেয় এবং এটি প্রবেশপথে প্রদর্শিত হয়। গবেষকরা এলাকায় আবিষ্কৃত কোনো ডাইনোসরের জীবাশ্মের সন্ধান না করা পর্যন্ত পাথরটি সেখানেই ছিল।
রোমিলিও জানান, কিছু শিক্ষক মনে করেছিলেন এটি আসল নয় বরং একটি প্রতিরূপ। সবাই বুঝতে পারেনি যে তাদের কাছে আসলে কী রয়েছে।
তিনি বলেন, এক বর্গমিটারেরও কম ক্ষেত্রফলের স্ল্যাবে ৬৬টি পৃথক পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। এগুলো অ্যানোমোইপাস স্ক্যাম্বাস প্রজাতির ডাইনোসরের ছিল। আকারে ছোট ও মোটা উদ্ভিদভোজী এই ডাইনোসররা দুই পায়ে হাঁটত।
রোমিলিও ও গবেষকদের একটি দল তাদের গবেষণার ফলাফল পিয়ার-রিভিউ জার্নাল হিস্টোরিক্যাল বায়োলজিতে প্রকাশ করেছেন।
সূত্র : বাসস