ব্রিসবেনে আছড়ে পড়ছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আলফ্রেড’
শুক্রবার গভীর রাতে কিংবা সকালের দিকে রাজধানী ব্রিসবেন ও পর্যটন শহর গোল্ডকোস্টে ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হানতে পারে আলফ্রেড।

অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনের দিকে প্রচন্ড বেগে ধেয়ে যাচ্ছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আলফ্রেড’।
স্থানীয় সময় আগামীকাল শুক্রবার রাতে ১৫৫ কিলোমিটার গতিতে উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। তবে এরইমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব শুরু হয়ে গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ব্যস্ততম এবং জনবহুল শহর ব্রিসবেনে প্রবল বৃষ্টি ও প্রচন্ড ঢেউসহ উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করেছে।
অস্ট্রেলিয়ার সরকারি আবহাওয়া অধিদফতর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ অস্ট্রেলিয়ার গোল্ডকোস্ট থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এই খবর জানিয়েছে।
প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী গ্রীস্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় ‘আলফ্রেড’ অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম শহর ব্রিসবেনের দিকে ধেয়ে আসছে। এর আগে, বুধবার (৫ মার্চ) সকাল থেকে কুইন্সল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলের দিকে ধাবিত হয় ঘূর্ণিঝড়টি।
বিদ্যুৎ কোম্পানি ‘সেনসিয়াল এনাজির্’ জানিয়েছে, প্রবল বাতাসের ফলে প্রায় চার হাজার ঘরবাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
সরকারি আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি রাতভর ধীরলয়ে কোরাল সাগরের দিকে অগ্রসর হওয়ার পর ব্রিসবেনের ২৮৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে
প্রায় ৪০ লাখ উপকূলবাসী এই ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের শিকার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ হয়ে ব্রিসবেনবাসী অন্ধকারে পড়তে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, শুক্রবার গভীর রাতে কিংবা সকালের দিকে রাজধানী ব্রিসবেন ও পর্যটন শহর গোল্ডকোস্টে ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হানতে পারে আলফ্রেড।
আবহাওয়বিদ সারাহ স্কুলি এএফপিকে জানিয়েছেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে উপকূলবাসীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছি। তিনি বলেন, যদি এই ঘূণিঝড় আঘাত হানে তাহলে অস্ট্রেলিয়ার ৫০ বছরের ইতিহাসে এটাই হবে প্রথম বড় ধরণের ঝড়।’
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ব্রিসবেন শহরে ঝড়ো বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এর কারণে দক্ষিণ-পূর্ব কুইন্সল্যান্ড এবং নিউ সাউথ ওয়েলসের উত্তরে জনবহুল বেশ কয়েকটি উপশহরের কয়েক হাজার বাড়ি ঝুঁকিতে রয়েছে। সমুদ্র উপকূলীয় শহরের অসংখ্য বাসিন্দা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজ সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, তার সরকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে জনগণকে নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত। তিনি উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের সাহসিকতার সাথে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।
উল্লেখ্য, ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় সর্বাধিক প্রবাসী বাংলাদেশীদের বসবাস। তবে বেশিভাগ প্রবাসী শহরের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি থাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্র : বাসস