বাংলাদেশ-ভারত দু’দেশের ভোটার তালিকাতেই নাম, অভিযোগ বিজেপি নেতার

ভুয়ো ভোটার ধরতে নেমে এবার ভোটার তালিকায় বাংলাদেশী হিন্দুর নাম খুঁজে বের করল তৃণমূল কংগ্রেস। ওই ব্যক্তি যে বাংলাদেশী নাগরিক তা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্তের স্ত্রী।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
বাংলাদেশ-ভারত দু’দেশের ভোটার তালিকাতেই নাম, অভিযোগ বিজেপি নেতার
বাংলাদেশ-ভারত দু’দেশের ভোটার তালিকাতেই নাম, অভিযোগ বিজেপি নেতার | ছবি : হিন্দুস্তান টাইমস

ভুয়ো ভোটার ধরতে নেমে এবার ভোটার তালিকায় বাংলাদেশী হিন্দুর নাম খুঁজে বের করল তৃণমূল কংগ্রেস। ওই ব্যক্তি যে বাংলাদেশী নাগরিক তা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্তের স্ত্রী।

শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় এই তথ্য তুলে ধরেন। অবিলম্বে এই ব্যক্তির নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।

শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের সামনে ভোটার তালিকা হাতে নিয়ে তপনবাবু জানান, পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের নন্দীগ্রামের বাসিন্দা ভৃগুরাম দাস ভারতের ভোটার। অথচ তিনি বাংলাদেশের নাগরিক এবং সেখানকার একটি স্কুলের শিক্ষক।

জানা গেছে, ভৃগুরাম দাসের স্ত্রী সুলেখা রানি দাস, ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতনি পূর্বস্থলীতেই বসবাস করেন। ভৃগুরামবাবু মাঝেমধ্যে ভারতে যাতায়াত করেন। তার স্ত্রীও স্বীকার করেছেন যে তার স্বামীর বাংলাদেশী নাগরিকত্ব রয়েছে। সাথে ভারতের ভোটার কার্ড রয়েছে তার।

বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, শুধু ভৃগুরাম দাস নন, তার বিধানসভা এলাকায় এ ধরনের প্রায় ৪০০ ‘ভূতুড়ে ভোটার’ রয়েছে, যাদের অস্তিত্বই নেই বা যারা দ্বৈত নাগরিকত্বের সুবিধা নিচ্ছেন।

বলে রাখি, মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা রাজ্যজুড়ে ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত করতে নামার পর বিজেপি অভিযোগ করে, আসলে ভোটার লিস্ট থেকে হিন্দুদের নাম কাটাই লক্ষ্য তৃণমূলের।

বিজেপির দাবি, ভুয়ো ভোটারদের নাম ভোটার লিস্টে তোলে তৃণমূলই। এভাবেই বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের ভোট ব্যাঙ্কে পরিণত করেছে তারা। বৃহস্পতিবার বিজেপির প্রকাশ করা তথ্য অনুসারে গত ৬ বছরে রাজ্যের ১৩৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে স্বাভাবিকের থেকে ভোটার বৃদ্ধির হার বেশি। আর এর মধ্যে ৮২টি কেন্দ্র মুসলিম অধ্যুষিত।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস