বাংলাদেশ নিয়ে ভারত ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনা

জয়শঙ্কর লেখেন, ‘দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে আমাদের দু’জনের মধ্যে। আমরা ইউক্রেন সঙ্ঘাত, পশ্চিম এশিয়া, বাংলাদেশ ও কমনওয়েলথসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়গুলোতে আলোকপাত করেছি।

বাংলাদেশ নিয়ে ভারত ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনা
বাংলাদেশ নিয়ে ভারত ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনা | ছবি : হিন্দুস্তান টাইমস

কয়েকদিন আগেই আমেরিকায় গিয়ে ট্রাম্পের সাথে বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। এবার ব্রিটেনে গিয়ে ওই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা করেছেন এস জয়শঙ্কর। এ

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সাথে বৈঠকের পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়ে জয়শঙ্কর লেখেন, ‘দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে আমাদের দু’জনের মধ্যে। আমরা ইউক্রেন সঙ্ঘাত, পশ্চিম এশিয়া, বাংলাদেশ ও কমনওয়েলথসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়গুলোতে আলোকপাত করেছি। একটি অনিশ্চিত ও অস্থির বিশ্বে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখছে।’

বৈঠক নিয়ে জয়শকংর আরো জানান, ভারতও ব্রিটেনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সব দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা। বিশেষ করে কৌশলগত সমন্বয়, রাজনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য চুক্তি, শিক্ষা, প্রযুক্তি, গতিশীলতা এবং দুই দেশের জনগণের বিনিময়ের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে বলে জানান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দুই দেশের সম্পর্ক যাতে আরো এগিয়ে নেয়া যায়, ওই বিষয়ের ওপর জোর দেয়ার বার্তা দেন জয়শঙ্কর।

৪ ও ৫ মার্চ ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন চেভেনিং হাউজে ছিলেন জয়শঙ্কর।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে শেখ হাসিনা ভারতে আসার পরে সেখান থেকে ব্রিটেনে যেতে চেয়েছিলন বলে দাবি করা হয়েছিল রিপোর্টে। তবে ওই সময় হাসিনাকে আশ্রয় দিতে অস্বীকার করেছিল ব্রিটিশ সরকার। এদিকে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপ কনজারভেটিভ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। তবে দুর্নীতির অভিযোগে তাকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল সম্প্রতি। এর জেরে রাজনৈতিকভাবে চাপে পড়েছিলেন কনজারভেটিভ প্রধান কিয়ের স্টারমার। এই আবহে জয়শঙ্করের সাথে ল্যামির বাংলাদেশ ইস্যুতে আলোচনা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরে রাশিয়া এবং ইউক্রেন নিয়ে অবস্থান বদলিয়েছে আমেরিকা। এই আবহে ইউক্রেন ইস্যুতেও ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আলোচনা হয় জয়শঙ্করের।

সূত্র : দ্য হিন্দু ও অন্যান্য