গাজায় ইসরাইলের বিদ্যুৎ ও খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া যুদ্ধাপরাধ : হামাস

নয়া দিগন্ত অনলাইন
যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য যে শর্ত দিলো ইসরাইল
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা | ছবি - সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস বুধবার অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের বিদ্যুৎ ও খাদ্য সরবরাহ বন্ধের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং একে যুদ্ধাপরাধ বলে অভিহিত করেছে।

হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘গাজায় ইসরাইলের ১৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা এবং দেইর আল-বালাহ পানি বিশুদ্ধকরণ কেন্দ্রে সীমিত বিদ্যুৎ সরবরাহকারী লাইন সম্প্রতি বিচ্ছিন্ন করা একটি যুদ্ধাপরাধ যা বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে।’

হামাস জানায়, বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ইসরাইলের পানি ও খাদ্য ব্যবহার ‘গাজার মানবিক বিপর্যয়কে আরো খারাপ করার একটি পদ্ধতিগত প্রচেষ্টার অংশ।’

যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময় চুক্তি সত্ত্বেও গাজার ওপর অবরোধ আরো কঠোর করার সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে রোববার গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইল। এতে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে দুই মিলিয়নেরও বেশি গাজাবাসীর বিরুদ্ধে ‘নজিরবিহীন সমষ্টিগত শাস্তি’ আরোপের অভিযোগ করা হয়েছে।

জাতিসঙ্ঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সেসকা আলবানিজ ইসরাইলের এ পদক্ষেপকে ‘গণহত্যার সতর্কতা’ বলে নিন্দা করে বলেছেন, বিদ্যুৎ ছাড়া বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যাবে না।

মঙ্গলবার, গাজা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির মুখপাত্র মোহাম্মদ থাবেত বলেন, ইসরাইল গত নভেম্বর থেকে গাজায় মাত্র পাঁচ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে।

ইসরাইল গাজায় মানবিক সাহায্য প্রবেশ বন্ধ করার পর স্থানীয় ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো ফিলিস্তিনি জনগণের অনাহারের সম্মুখীন হওয়ার বিষয়েও সতর্কতা জারি করে।

হামাস বলেছে, ‘ইসরাইলের গাজা ক্রসিং বন্ধ করে দেয়া এবং খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির গুরুতর লঙ্ঘন এবং‘আন্তর্জাতিক ও মানবিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।’

জাতিসঙ্ঘ, মানবিক সংস্থা ও আরব রাষ্ট্রগুলোকে ‘এই বর্বর অপরাধ বন্ধ করতে’, অবরোধ তুলে নিতে এবং আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের সামনে ইসরাইলি নেতাদের জবাবদিহি করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে হামাস।

সূত্র : আনাদোলু অ্যাজেন্সি