ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বলল হামাস

আল-কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, তারা ‘সব রকমের সম্ভাবনার’ জন্য প্রস্তুত এবং ‘উচ্চ সতর্কতা’ বজায় রেখেছে। সংগঠনটি জোর দিয়ে বলেছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার বাহিনী নতুন করে যুদ্ধ শুরু করলে ইসরাইলি বন্দীদের মুক্তির নিশ্চয়তা থাকবে না।

সব রকমের সম্ভাবনার জন্য প্রস্তুত হামাস
সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হামাস | ছবি : পার্সটুডে

ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, তারা ‘সব রকমের সম্ভাবনার’ জন্য প্রস্তুত এবং ‘উচ্চ সতর্কতা’ বজায় রেখেছে। সংগঠনটি জোর দিয়ে বলেছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার বাহিনী নতুন করে যুদ্ধ শুরু করলে ইসরাইলি বন্দীদের মুক্তির নিশ্চয়তা থাকবে না।

আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বক্তৃতায় এই মন্তব্য করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, দখলদার সরকার অস্ত্র ও যুদ্ধের মাধ্যমে যা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে তা কখনই হুমকি ও প্রতারণার মাধ্যমে অর্জন করা যাবে না।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দেয়ার ঠিক একদিন পর আবু উবাইদা এই মন্তব্য করলেন। ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেছেন, গাজা উপত্যকায় আটক অবশিষ্ট ইসরাইলি বন্দীদের অবিলম্বে মুক্তি না দিলে ফিলিস্তিনি এবং হামাস যোদ্ধাদের হত্যা করা হবে।

আবু উবাইদা বলেন, ‘শত্রুদের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন এবং বিশ্বাসঘাতকতা সত্ত্বেও আমরা বিশ্ব এবং মধ্যস্থতাকারীদের সামনে বন্দী বিনিময় চুক্তি মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যেকোনো অজুহাত বাদ দিয়ে এবং প্রতিশ্রুতি রক্ষার মাধ্যমে আমাদের জনগণের রক্তপাত ঠেকাতে এবং চুক্তি বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’

১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া তিন ধাপের গাজা যুদ্ধবিরতির আওতায় ইসরাইল হামাসের দীর্ঘস্থায়ী আলোচনার শর্ত মেনে নেয়। শনিবার শেষ হওয়া প্রথম ধাপে আটটি লাশসহ মোট ৩৩ জন ইসরাইলি বন্দীকে মুক্তি দেয়া হয়, যার বিনিময়ে ইসরাইলি কারাগারে আটক প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তবে ইসরাইল যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে এগিয়ে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে যুদ্ধের স্থায়ী অবসান, গাজা থেকে দখলদার সৈন্যদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং সকল বন্দীকে মুক্তি দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

সূত্র : পার্সটুডে