ইসরাইল কেমন সিরিয়া চায়?
ইসরাইল চেষ্টা করছে যে সিরিয়ার দামেস্কের নতুন সরকারকে মেনে না নেয়ার জন্য ড্রুজদের রাজি করাতে। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য ইসরাইল কোটি কোটি ডলার ব্যয় করতে চায়। এ ধরনের পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো সিরিয়ায় বিভাজন এবং অনৈক্য সৃষ্টি করা।

সিরিয়ায় বিভক্তি ও অনৈক্য সৃষ্টি করার জন্য ইসরাইলি প্রচেষ্টার কথা প্রকাশ করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরাইল চেষ্টা করছে যে সিরিয়ার দামেস্কের নতুন সরকারকে মেনে না নেয়ার জন্য ড্রুজদের রাজি করাতে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য ইসরাইল কোটি কোটি ডলার ব্যয় করতে চায়। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো সিরিয়ায় বিভাজন এবং অনৈক্য সৃষ্টি করা।
সূত্রটি জানিয়েছে, ইসরাইল বিশ্বশক্তির কাছে সিরিয়ায় একটি নতুন রাষ্ট্র গঠনের ধারণা নিয়ে লবিং করছে, যেখানে স্বায়ত্তশাসিত গোত্রীয় অঞ্চলের একটি ফেডারেল ব্যবস্থা থাকবে, যে এলাকাকে ইসরাইল সীমান্তবর্তী দক্ষিণ এলাকায় বেসামরিকীকরণ করা হবে।
এর আগেও ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দক্ষিণ সিরিয়াকে বেসামরিকীকরণের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
বিশ্লেষকদের মতে, ইসরাইলের লক্ষ্য হলো সিরিয়াকে দুর্বল ও বিচ্ছিন্ন করে রাখা।
এই প্রতিবেদন অনুসারে, যদিও দামেস্কের নতুন কর্তৃপক্ষ ফেডারেল ব্যবস্থা গ্রহণ করবে-এমন সম্ভাবনা কম, তবু ইসরাইল তাদের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আসাদ সরকারের পতনের পর গত তিন মাসে, ইসরাইল সিরিয়ার সামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে যাতে দেশটির নয়া কর্মকর্তাদের হাতে অস্ত্র না পড়ে।
এদিকে, কিছু সিরিয়ার উপজাতীয় নেতারা উদ্বিগ্ন যে ইসরাইল সিরিয়ার আরো বেশি ভূখণ্ড দখল না করে বসে। তারা বলছে, সিরিয়ার কুনেইত্রা প্রদেশটি কার্যত ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যা সীমান্তবর্তী তিনটি প্রদেশের মধ্যে একটি।
এমনকি সিরিয়ার ড্রুজ সম্প্রদায়ের কিছু নেতাও উদ্বিগ্ন যে ইসরাইলের দীর্ঘমেয়াদী আঞ্চলিক লক্ষ্যগুলো সিরিয়াকে আরো বেশি অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেবে এবং দল-উপদল সৃষ্টি করে গভীর বিভাজনের মধ্য দিয়ে সীমান্তজুড়ে উত্তেজনা উস্কে দেবে।
সূত্র : ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল/পার্সটুডে