গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যে ইসরাইলের হামলা বৃদ্ধি, নিহত ৮

হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির আলোচনা পুনরায় শুরু হওয়ার ঘোষণা দেয়ার পর গাজায় আট ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ইসরাইলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত গাজা
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা | ছবি - সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর গুলিবর্ষণে আটজন এবং অধিকৃত পশ্চিমতীরে আরো তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

গত ১৯ জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি বহাল থাকলেও ইসরাইলি বাহিনী প্রায় প্রতিদিনই সেখানে হামলা চালানো অব্যাহত রেখেছে এবং কয়েক ডজন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। ইসরাইলি বাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের কাছে গিয়েছিল বা অননুমোদিত এলাকায় প্রবেশ করেছিল।

এদিকে, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে নতুন করে যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুরু হয়েছে। ইসরাইল চায় হামাস একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি আলোচনার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে বাকি পণবন্দীদের মধ্যে অর্ধেক মুক্তি দিক। কিন্তু হামাস যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ে আলোচনা শুরু করতে চায়।

চুক্তি অনুযায়ী, দ্বিতীয় পর্যায়ে অবশিষ্ট পণবন্দীদের মুক্তি দেয়া হবে এবং ইসরাইল তার সামরিক বাহিনীকে গাজা থেকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করবে।

ধারণা করা হচ্ছে, হামাসের কাছে ২৪ জন পণবন্দী ও ৩৫ জনের লাশ রয়েছে।

অপরদিকে, গাজার ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনিদের বিদ্যুৎ, খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য পণ্যের সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করে হামাসকে তাদের পরিকল্পনা মেনে নিতে বাধ্য করার চেষ্টা করছে ইসরাইল। জাতিসঙ্ঘ ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর মতে, এর মাধ্যমে ইসরাইল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে।

জাতিসঙ্ঘ জানিয়েছে, গত ১০ দিন ধরে গাজায় খাদ্য, জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য মানবিক সাহায্যের ওপর ইসরাইলি নিষেধাজ্ঞা ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতিতে লাখ লাখ ফিলিস্তিনিদের কাছে সরবরাহ পৌঁছানোর অগ্রগতিকে পিছিয়ে দিয়েছে।

মানবিক-বিষয়ক সমন্বয় অফিস জানিয়েছে, জাতিসঙ্ঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ গাজায় তীব্র পানির ঘাটতির বিষয়ে সতর্ক করেছে। ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় প্রতি ১০ জনের মধ্যে মাত্র একজন নিরাপদ পানীয় জল পেতে সক্ষম।

সূত্র : এপি নিউজ