গাজা পুনর্গঠনে আরবদের ‘বাস্তবসম্মত’ পরিকল্পনা সমর্থন করলেন ইউরোপীয় নেতারা

পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পরিকল্পনাটি গাজার পুনর্গঠনের একটি বাস্তবসম্মত পথ দেখায়। এটির বাস্তবায়ন গাজায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের জন্য বিপর্যয়কর জীবনযাত্রার দ্রুত ও টেকসই উন্নতির প্রতিশ্রুতি দেয়।’

নয়া দিগন্ত অনলাইন
কেমন কাটছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাবাসীর জীবন
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা | ছবি - সংগৃহীত

গাজা পুনর্গঠনে মিসরের প্রস্তাবিত ও আরব দেশগুলোর অনুমোদিত পরিকল্পনাকে শনিবার স্বাগত জানিয়েছে ইউরোপের চার দেশ যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি ও জার্মানি।

এই চার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা একটি যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা গাজার জন্য পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠন পরিকল্পনায় আরব উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।’

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পরিকল্পনাটি গাজার পুনর্গঠনের একটি বাস্তবসম্মত পথ দেখায়। এটির বাস্তবায়ন গাজায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের জন্য বিপর্যয়কর জীবনযাত্রার দ্রুত ও টেকসই উন্নতির প্রতিশ্রুতি দেয়।’

এতে আরো বলা হয়েছে, ‘পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠন প্রচেষ্টা অবশ্যই ইসরাইল ও ফিলিস্তিন উভয়ের জন্য গ্রহণযোগ্য একটি দৃঢ় রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে হতে হবে। এটি ইসরাইল ও ফিলিস্তিন উভয়ের জন্যই দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ও নিরাপত্তা দেবে।’

বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কেন্দ্রীয় ভূমিকা ও এর ‘সংস্কার এজেন্ডা’ বাস্তবায়নের প্রতি স্পষ্ট সমর্থনও প্রকাশ করা হয়েছে।

এর আগে, মঙ্গলবার কায়রোতে একটি জরুরি আরব শীর্ষ সম্মেলনে ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূমি থেকে বাস্তুচ্যুত না করে গাজা উপত্যকা পুনর্নির্মাণের জন্য মিশরের ৫৩ বিলিয়ন ডলারের পুনর্গঠন পরিকল্পনা গৃহীত হয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা ‘দখল’ করার ও ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের পরিকল্পনার পরে আরব বিশ্ব ও অন্যান্য অনেক দেশ এ পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, এটি জাতিগত নির্মূলের সমান।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি