সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে সামরিক স্থাপনায় ইসরাইলের বিমান হামলা

যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, ইসরাইলি যুদ্ধবিমানের ১৭টি হামলা শহরগুলোতে অবস্থিত ক্ষমতাচ্যুত সরকারের দুটি সামরিক ঘাঁটি- আর্টিলারি রেজিমেন্ট ৮৯ ও ১২তম ব্রিগেডে আঘাত করেছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে ইসরাইলের বিমান হামলা
সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে সামরিক স্থাপনায় ইসরাইলের বিমান হামলা | ছবি - সংগৃহীত

সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ দেরায় হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বিমান। ক্ষমতাচ্যুত বাশার আল-আসাদের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলাগুলো চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে মিডিয়া রিপোর্ট ও একটি পর্যবেক্ষণ গোষ্ঠী।

রাষ্ট্র পরিচালিত সিরিয়ান আরব নিউজ অ্যাজেন্সি (সানা) জানিয়েছে, সোমবার রাতে হামলাগুলো রাজধানী দামেস্ক থেকে ১০৩ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত দেরার উত্তরের দুটি শহরে আঘাত হানে।

বার্তাসংস্থাটি জানায়, ‘ইসরাইলি দখলদার বিমানগুলো দেরার উত্তরে জাব্বাব ও ইজরা শহরের আশেপাশের এলাকায় বেশ কয়েকটি বিমান হামলা চালিয়েছে।’

যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, ইসরাইলি যুদ্ধবিমানের ১৭টি হামলা শহরগুলোতে অবস্থিত ক্ষমতাচ্যুত সরকারের দুটি সামরিক ঘাঁটি- আর্টিলারি রেজিমেন্ট ৮৯ ও ১২তম ব্রিগেডে আঘাত করেছে।

এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পর্যবেক্ষণ সংস্থাটি।

এদিকে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১৪ জানায়, সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো আসাদ সরকারের সেনাবাহিনীর ফাঁড়ি, অস্ত্রের ডিপো, রাডার, ট্যাঙ্ক ও কামানগুলোকে ‘দখল করার চেষ্টা করছিল’, সেগুলোকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

গত ডিসেম্বরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের উৎখাতের পর থেকে ইসরাইল সিরিয়ায় শত শত বিমান হামলা চালিয়েছে।

সিরিয়ান অবজারভেটরির তথ্য মতে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সিরিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে ৫০০টিরও বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে এবং চলতি বছরে এ পর্যন্ত ২১টি নথিভুক্ত হামলা চালিয়েছে।

এর আগে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত মাসে জানান, দক্ষিণ সিরিয়াকে সম্পূর্ণরূপে সামরিক নিরস্ত্রীকরণ করতে হবে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, তার সরকার ইসরাইলি ভূখণ্ডের কাছে সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার নেতৃত্বে দামেস্কে নতুন সরকার বাহিনীর উপস্থিতি মেনে নেবে না।

সূত্র : আল জাজিরা