গাজায় মানবিক সহায়তা বন্ধ
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলেছে, ‘আমাদের পণবন্দীদের মুক্তি না দিলে ইসরাইল যুদ্ধবিরতি মেনে নেবে না। যদি হামাস তাদের অস্বীকৃতি অব্যাহত রাখে, তাহলে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে।’

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায়ের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় গাজায় সব ধরনের মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে বলে রোববার জানিয়েছে ইসরাইল।
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে কয়েক ডজন ইসরাইলি পণবন্দী এবং এর বিনিময়ে শত শত ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। শনিবার প্রথম ধাপের মেয়াদ শেষ হয়েছে।
ইসরাইলিরা চুক্তির প্রথম ধাপ অব্যাহত রাখতে চায়। ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি ও গাজায় মানবিক সাহায্য প্রবেশের বিনিময়ে জীবিত ও নিহত পণবন্দীদের হস্তান্তর প্রক্রিয়া মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও চালু রাখতে চায় তারা। ধারণা করা হচ্ছে, গাজায় এখনো ২৪ জন ইসরাইলি পণবন্দী জীবিত রয়েছেন।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ পবিত্র রমজান মাস ও ইহুদিদের ছুটির দিন পাসওভারকে অন্তর্ভুক্ত করে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দেন। তবে হামাস দ্বিতীয় পর্যায়ে অগ্রসর হওয়ার জন্য জোর দিয়েছে। তারা অভিযোগ করেছে, মেয়াদ সম্প্রসারণের বিষয়টি ইসরাইলের কারসাজি।
রোববার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানায়, ’বন্দী চুক্তির প্রথম ধাপ সম্পন্ন হওয়ার পর এবং আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য উইটকফের প্রস্তাবিত কাঠামো, যাতে ইসরাইল সম্মত হয়েছিল, তা হামাস প্রত্যাখ্যান করায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আজ সকাল থেকে গাজা উপত্যকায় সকল পণ্য ও সরবরাহ প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হবে।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘আমাদের পণবন্দীদের মুক্তি না দিলে ইসরাইল যুদ্ধবিরতি মেনে নেবে না। যদি হামাস তাদের অস্বীকৃতি অব্যাহত রাখে, তাহলে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখপাত্র ওমর দোস্ত্রি রোববার বলেন, ‘আজ সকালে কোনো ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেনি এবং করবেও না।’
এদিকে হামাস নেতা মাহমুদ মারদাউই রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বন্দীদের প্রত্যাবর্তনের একমাত্র পথ হল চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন, যা দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হওয়া ছাড়া সম্ভব না।’
মারদাউই জানান, হামাস চায় দ্বিতীয় পর্যায়ে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা, গাজা থেকে ইসরাইলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, গাজা পুনর্গঠন এবং তারপর একটি সম্মত চুক্তির অংশ হিসেবে বন্দীদের মুক্তি দেয়া।
তিনি আরো বলেন, ‘এটাই আমরা জোর দিয়ে বলছি এবং আমরা এ থেকে পিছু হটব না।’
সূত্র : সিএনএন