‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের’ দায় নিলেন ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট দুর্তাতে
‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের’ সাথে জড়িত খুনের অভিযোগে ম্যানিলায় গ্রেফতারের পর বুধবার আইসিসি দুতার্তেকে হেফাজতে নেয়। এই অভিযানে হাজার হাজার কথিত মাদককারবারি ও ব্যবহারকারী নিহত হন।

ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, তিনি তার প্রশাসনের ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের’ সম্পূর্ণ দায়ভার নিচ্ছেন।
দুতার্তে বলেন, ‘অতীতে যা-ই ঘটুক না কেন, আমি আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সামরিক বাহিনীর সামনে থাকব। আমি ইতোমধ্যেই বলেছি, আমি আপনাদের রক্ষা করব এবং সবকিছুর জন্য আমি দায়ী থাকব।’
দুতার্তেকে গ্রেফতারের পর নেদারল্যান্ডসের শহর দ্য হেগের উদ্দেশে বিমানে উঠার পর এই প্রথম তিনি কোনো বার্তা দিলেন।
‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের’ সাথে জড়িত খুনের অভিযোগে ম্যানিলায় গ্রেফতারের পর বুধবার আইসিসি দুতার্তেকে হেফাজতে নেয়। এই অভিযানে হাজার হাজার কথিত মাদককারবারি ও ব্যবহারকারী নিহত হন।
এদিকে আইসিসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘দুতার্তেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের হেফাজতে সমর্পণ করা হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে হত্যার অভিযোগে তাকে ফিলিপাইন প্রজাতন্ত্রের কর্তৃপক্ষ গ্রেফতার করেছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক হাজিরার জন্য আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তাকে আইসিসির বিচারকের সামনে হাজির করা হবে। ডাচ উপকূলের একটি আটক ইউনিটে তাকে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সমর্থকদের আশ্বস্ত করে দুতার্তে বলেন, ‘এটি একটি দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া হবে। কিন্তু আমি আপনাদের বলছি, আমি আমার দেশের সেবা করে যাব। আর যদি এটাই আমার নিয়তি হয়, তাহলে তাই হোক।’
ফিলিপাইনের নেতৃত্বদানকারী দুতার্তে ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মাদকবিরোধী অভিযানে ‘ডেথ স্কোয়াড’ তত্ত্বাবধানের জন্য মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের মুখোমুখি হবেন। তিনি আইসিসিতে বিচারের মুখোমুখি হওয়া প্রথম এশীয় সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান হতে পারেন।
আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানায় বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন দুতার্তে মাদক ব্যবহারকারী ও বিক্রেতাদের হত্যা করতে ডেথ স্কোয়াড তৈরি, অর্থায়ন ও সশস্ত্র করেছিলেন।
পুলিশের হিসাব অনুযায়ী, তার ছয় বছরের দায়িত্বকালে মাদকবিরোধী অভিযানের সময় ছয় হাজার ২০০ সন্দেহভাজন নিহত হন।
সূত্র : রয়টার্স