মার্কিন কৃষি পণ্যে শুল্ক আরোপ, ট্রাম্পকে চীনের জবাব

নয়া দিগন্ত অনলাইন

চীন মুরগির মাংস, গম, ভুট্টা ও তুলার ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এছাড়াও সয়াবিন, জোয়ার, গরুর মাংস, শূকরের মাংস, ফল, শাকসবজি ও দুগ্ধজাত পণ্যের ওপর আরো ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।

ট্রাম্প ও শি জিনপিং
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প | ছবি - সংগৃহীত

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা আবারো বাড়তে শুরু করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৪ মার্চ চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। চীন এর প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন কৃষি ও খাদ্যপণ্যের ওপর নতুন শুল্ক বসিয়েছে। ২৫টি মার্কিন কোম্পানির বিরুদ্ধে রফতানি ও বিনিয়োগ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটি।

চীন মুরগির মাংস, গম, ভুট্টা ও তুলার ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এছাড়াও সয়াবিন, জোয়ার, গরুর মাংস, শূকরের মাংস, ফল, শাকসবজি ও দুগ্ধজাত পণ্যের ওপর আরো ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।

এর আগে, ট্রাম্প ফেব্রুয়ারিতে চীনের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, চীন মাদক পাচার রোধে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

চীনের অবস্থান

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা কখনোই কোনো প্রকার হুমকি বা চাপের কাছে নতিস্বীকার করবে না। চীন এই শুল্ক আরোপকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ব্ল্যাকমেইল’ নীতি বলে মনে করছে।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন এখনো আলোচনার দরজা খোলা রেখেছে।

অর্থনৈতিক প্রভাব

বাণিজ্য যুদ্ধ মার্কিন কৃষকদের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে। কারণ চীন মার্কিন কৃষিপণ্যের বৃহত্তম বাজার। চীনের বাজারে মার্কিন কৃষি পণ্যের আমদানি ইতোমধ্যেই কমে গেছে। উদাহরণস্বরূপ, চীন ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৯.২৫ বিলিয়ন ডলারের কৃষি পণ্য আমদানি করে। ২০২২ সালে এর পরিমাণ ছিল ৪২.৮ বিলিয়ন ডলার।

ভবিষ্যৎ পূর্বাভাস

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দুই দেশ আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় না পৌঁছালে শুল্ক ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। ফলে মার্কিন কৃষকদের বিকল্প বাজার খুঁজতে হবে।

সূত্র : ডয়চে ভেলে

বিষয়সমূহ