স্কটল্যান্ডে ট্রাম্পের গলফ রিসোর্টে হামলা
ট্রাম্পের গাজা নিয়ে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য ও পরিকল্পনার কারণে ক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনি মানুষ ও তাদের সমর্থকরা। এরই জেরে এই হামলা ঘটিয়েছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে প্যালেস্টাইন অ্যাকশন সংগঠনের সদস্যরা। খবর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি)।

স্কটল্যান্ডে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টার্নবেরি গলফ রিসোর্টে হামলা হয়েছে। ট্রাম্পের গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরানোর পরিকল্পনার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনপন্থী ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন‘ নামের একটি সংগঠন এই হামলা চালিয়েছে বলে দায় স্বীকার করেছে।
স্থানীয় সময় শনিবার (৮ মার্চ) এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সংগঠনটি।
ট্রাম্পের গাজা নিয়ে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য ও পরিকল্পনার কারণে ক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনি মানুষ ও তাদের সমর্থকরা। এরই জেরে এই হামলা ঘটিয়েছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে প্যালেস্টাইন অ্যাকশন সংগঠনের সদস্যরা। খবর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি)।
টার্নবেরি রিসোর্টটি ভাঙচুর করার পাশাপাশি রিসোর্টের দেয়ালে লাল রং দিয়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিভিন্ন গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়েছে। রিসোর্টের সবুজ মাঠে লাল রং দিয়ে লেখা হয়েছে ‘গাজা বিক্রির জন্য নয়।’
সংগঠনটির কর্মীরা জানায়, ট্রাম্প গাজাকে নিজের সম্পত্তির মতো মনে করে, যা খুশি তাই করতে পারে না- তারই প্রতিবাদ এটা।
তারা বলেন, ‘আমরা ট্রাম্পকে স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিতে চাই, আমাদের প্রতিরোধ থেকে তার নিজের সম্পত্তিও নিরাপদ নয়।’
ফিলিস্তিনিনের এই হামলাকে ট্রাম্প ‘বাচ্চাসুলভ, অপরাধমূলক’ কার্যক্রম হিসেবে অভিহিত করে বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডে তার পরিকল্পনায় কোনো পরিবর্তন আসবে না।
এই ঘটনায় স্কটল্যান্ড পুলিশ রিপোর্ট পেয়েছে বলে জানিয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলমান বলে নিশ্চিত করেছেন তারা।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে হঠাৎ হামলা চালায় হামাস। ওই সময় প্রায় এক হাজার ২০০ অবৈধ বসতিস্থাপনকারী ইসরাইলি নিহত হন। পাশাপাশি আরো প্রায় ২৫০ জনকে পণবন্দী করে নিয়ে যান হামাস যোদ্ধারা।
পরের দিন থেকে গাজাজুড়ে ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। আকাশ ও স্থলপথে গত প্রায় ১৫ মাস ধরে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ৪৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এরপরে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ৩৩ ইসরাইলি পণবন্দীকে ফিরিয়ে দেয়ার বিনিময়ে আটক কয়েক শ’ ফিলিস্তিনি বন্দী মুক্তি পেয়েছেন। প্রথম ধাপ শেষ হলেও দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে গাজার মানুষের ভাগ্য।
এরইমধ্যে পুর্নগঠনের নামে উপত্যকাটির বাসিন্দাদের স্থায়ীভাবে অন্যত্র সরিয়ে গাজা দখলের প্রস্তাব দেন ট্রাম্প। তবে তার এই প্রস্তাব দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন ফিলিস্তিনিরা।
সূত্র : ইউএনবি