বাইডেনের সময়কালের চুক্তির অধীনে কিউবার ৫৫৩ জন বন্দীর মুক্তি সম্পন্ন

ফরাসি বার্তাসংস্থা এফপি জানায়, আদালতের ভাইস প্রেসিডেন্ট মারিসেলা সোজা রাভেলো রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ‘প্রক্রিয়াটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে’ উল্লেখ করে বলেন, জানুয়ারিতে ৩৭৮টি ও ফেব্রুয়ারিতে ১৭৫টি আবেদন দাখিল করা হয়।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
জো বাইডেন
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন | ছবি - সংগৃহীত

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ক্ষমতার শেষ দিনগুলোতে সম্পাদিত এক চুক্তির অধীনে কিউবা ৫৫৩ জন বন্দীর আগাম মুক্তি মঞ্জুর করেছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পরে চুক্তিটি বাতিল করেছিলেন।

সোমবার (১০ মার্চ) দেশটির সুপ্রিম কোর্টের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

ফরাসি বার্তাসংস্থা এফপি জানায়, আদালতের ভাইস প্রেসিডেন্ট মারিসেলা সোজা রাভেলো রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ‘প্রক্রিয়াটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে’ উল্লেখ করে বলেন, জানুয়ারিতে ৩৭৮টি ও ফেব্রুয়ারিতে ১৭৫টি আবেদন দাখিল করা হয়।

চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপের মধ্যে বাইডেন ১৪ জানুয়ারি কমিউনিস্ট দ্বীপে ৫৫৩ জন বন্দীকে মুক্তি দিতে সম্মত হন। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক তালিকা থেকে কিউবাকে বাদ দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

কিন্তু এর ছয়দিন পরে ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণ করে ভ্যাটিকানের মধ্যস্থতায় সম্পাদিত চুক্তিটি দ্রুত বাতিল করে দেন। তবে অধিকার গোষ্ঠীগুলো ‘রাজনৈতিক বন্দী’ হিসেবে অভিহিত মাত্র ১৯২ জনের মুক্তি নিশ্চিত করে।

২০২১ সালের জুলাই মাসে কিউবান সরকারের বিরুদ্ধে বিরল গণবিক্ষোভের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের সময় অধিকাংশকে আটক করা হয়।

বেশ কয়েকটি মানবাধিকার গোষ্ঠী বলেছে, ট্রাম্পের আদেশের পর বন্দীদের মুক্তি বন্ধ হয়ে যায় কিন্তু পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ ধরে বিক্ষিপ্তভাবে পুনরায় মুক্তি দেয়া শুরু হয়।

কিউবান কর্তৃপক্ষ কখনো মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীদের তালিকা বা মুক্তি প্রাপ্তির সময়সূচিও প্রকাশ করেনি।

‘টোডোস’ প্ল্যাটফর্ম বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার তথ্য সংগ্রহ করে জানায়, তাদের পক্ষ থেকে বিরোধী নেতা

হোসে ড্যানিয়েল ফেরার ও বিরোধী ফেলিক্স নাভারোসহ ২১২ জনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।

বিরোধী শিল্পী লুইস ম্যানুয়েল ওটেরো আলকানতারা ও মেকেল ওসোরবো নামের দুই ব্যক্তিকে যথাক্রমে পাঁচ ও সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। তাদের এখনো মুক্তি দেয়া হয়নি।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২১ সালের জুলাই মাসে বিক্ষোভে গ্রেফতার হওয়া প্রায় ৫০০ বিক্ষোভকারীকে দণ্ডিত করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে ২৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়া হয়। কয়েকজনকে ইতোমধ্যে তাদের সাজা ভোগ করার পর মুক্তি দেয়া হয়েছে।

মানবাধিকার এনজিও ও হাভানায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস অনুমান করছে দ্বীপে প্রায় এক হাজার রাজবন্দী রয়েছে।

সূত্র : বাসস