ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি
‘সব বন্দিকে মুক্তি না দিলে প্রত্যেক ফিলিস্তিনি এবং হামাস সদস্যকে হত্যা করা হবে’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, গাজা উপত্যকায় আটক বাকি ইসরাইলি বন্দিদের অবিলম্বে মুক্তি না দিলে এ উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের এবং হামাসের প্রতিরোধকামী সদস্যদের হত্যা করা হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, গাজা উপত্যকায় আটক বাকি ইসরাইলি বন্দিদের অবিলম্বে মুক্তি না দিলে এ উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের এবং হামাসের প্রতিরোধকামী সদস্যদের হত্যা করা হবে।
মুক্তিপ্রাপ্ত আট বন্দির সাথে হোয়াইট হাউসে দেখা করার পর বুধবার ট্রাম্প একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এ সতর্কীকরণ বার্তা জারি করেন। ট্রাম্প বলেন, সব জিম্মিকে এখনই মুক্তি দিন, পরে নয়। অবিলম্বে সব লাশ ফিরিয়ে দিন…তা না হলে সবকিছু শেষ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইসরাইলকে ওয়াশিংটনের পূর্ণ সামরিক সহায়তার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন, যার মূল্য কোটি কোটি ডলার। তিনি বলেন, ‘আমি ইসরাইলকে কাজ শেষ করার জন্য যা যা প্রয়োজন তা পাঠাচ্ছি। যদি তোমরা আমার কথা মতো কাজ না করো, তাহলে একজন হামাস সদস্যও নিরাপদ থাকবে না।’ তিনি আরো সতর্ক করে দেন যে ইসরাইলি বন্দিদের অবিলম্বে মুক্তি না দিলে ‘নরক মূল্য দিতে হবে’।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এটি তোমাদের জন্য শেষ সতর্কীকরণ! আমার নেতৃত্বের কসম, এখনই গাজা ছেড়ে চলে যাওয়ার সময়। তোমাদের কাছে এখনো সুযোগ আছে।
তিনি আরো বলেন, গাজার জনগণের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে, কিন্তু যদি তোমরা বন্দীদের ধরে রাখো তাহলে নয়। যদি তা করো তাহলে তোমরা শেষ!
বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য আমেরিকা হামাসের সাধে সরাসরি আলোচনা করছে বলে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট নিশ্চিত করার কয়েক ঘন্টা পরেই এই পোস্টটি প্রকাশিত হয়।
ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলের ধারাবাহিক নৃশংসতার প্রতিশোধ হিসেবে হামাস দখলদার শক্তি বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক আল আকসা তুফান অভিযান চালানোর পর ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইল গাজা উপত্যকায় গণহত্যা যুদ্ধ শুরু করে।
সূত্র : পার্সটুডে