ইসরাইলি যুদ্ধাপরাধে সহযোগিতা করার দায়ে বাইডেনের বিরুদ্ধে আইসিসিতে অভিযোগ

গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি যুদ্ধাপরাধের সহযোগী হিসেবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার কয়েকজন কর্মকর্তার বিচার শুরু করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখতে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিসি)-এর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে একটি মার্কিন মানবাধিকার সংস্থা।

ইসরাইলি যুদ্ধাপরাধে সহযোগিতা করার দায়ে বাইডেনের বিরুদ্ধে আইসিসিতে অভিযোগ
ইসরাইলি যুদ্ধাপরাধে সহযোগিতা করার দায়ে বাইডেনের বিরুদ্ধে আইসিসিতে অভিযোগ | ছবি : সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি যুদ্ধাপরাধের সহযোগী হিসেবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার কয়েকজন কর্মকর্তার বিচার শুরু করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখতে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিসি)-এর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে একটি মার্কিন মানবাধিকার সংস্থা।

দি ডেমোক্র্যাসি নাউ ফর দি আরব ওয়ার্ল্ড (ডন) নামক মানবাধিকার সংস্থাটি আইসিসির কাছে ১৭২ পৃষ্ঠার একটি আবেদন জমা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাইডেন, সাবেক মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তনি ব্লিঙ্কেন গাজাবাসীর বিরুদ্ধে ইসরাইলের গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ উপেক্ষা করার পাশাপাশি ওই অপরাধে সহযোগিতা করেছেন।

সংস্থাটি বলেছে, তারা আইসিসির চিফ প্রসিকিউটরকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি যুদ্ধাপরাধে মার্কিন কর্মকর্তাদের মাত্রাতিরিক্ত সহযোগী ভূমিকা পালনের বিষয়টি তদন্ত করে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন।

ডনের বোর্ড সদস্য রিড ব্রডি বলেছেন, রাজনৈতিক কারণে তাদের করা মামলাটি বেশিদূর অগ্রসর নাও হতে পারে। তবে তারা এর মাধ্যমে যে বার্তাটি দিয়েছেন তা পরিবর্তিত হবে না। বার্তাটি হচ্ছে, গাজায় যুদ্ধাপরাধ হয়েছে এবং তাতে মার্কিন প্রশাসনের তিন শীর্ষ কর্তাব্যক্তির সুস্পষ্ট ভূমিকা ছিল।

তিনি বলেন, আইসিসি এখন কী করে সেটি দেখার বিষয়। তারা মামলাটি সামনে এগিয়ে নেবে নাকি গাজা উপত্যকায় আরো বেশি ধ্বংসযজ্ঞ হতে দেবে যাতে ধ্বংসস্তুপের মধ্যে আরো বেশি লাশ পড়বে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু করে প্রায় ১৬ মাস গাজা উপত্যকার ২৩ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে ভয়াবহ গণহত্যা চালিয়েছে ইসরাইল। সেখানে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ হচ্ছে জেনেও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন তেল আবিবকে সর্বাত্মক রাজনৈতিক ও সামরিক পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে গেছে। ১৬ মাসে ওয়াশিংটন তেল আবিবকে সমরাস্ত্রের যে বিশাল ভাণ্ডার সরবরাহ করেছে তার আর্থিক পরিমান কয়েক হাজার কোটি ডলার।

সূত্র : গার্ডিয়ান ও অন্যান্য