নাসার প্রধান বিজ্ঞানীকে বরখাস্ত, আরো কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা

এই পদক্ষেপ কেবল ২৩ জনের ওপর কার্যকর হয়েছে। তবে আরো কর্মী ছাঁটাই করা হবে বলে একজন মুখপাত্র ইঙ্গিত দিয়েছেন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
নাসার প্রধান বিজ্ঞানীকে বরখাস্ত, আরো কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা
নাসার প্রধান বিজ্ঞানী ক্যাথরিন ক্যালভিন | ছবি - সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আদেশ অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তন গবেষণাকে দুর্বল করার প্রশাসনিক পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় নাসা মঙ্গলবার তার প্রধান বিজ্ঞানী ও অন্য আরো কয়েকজনকে বরখাস্তের ঘোষণা দিয়েছে।

যদিও এই পদক্ষেপ কেবল ২৩ জনের ওপর কার্যকর হয়েছে। তবে আরো কর্মী ছাঁটাই করা হবে বলে একজন মুখপাত্র ইঙ্গিত দিয়েছেন।

প্রথম দফায় বিখ্যাত জলবায়ুবিদ ক্যাথরিন ক্যালভিনের পরিচালনায় থাকা প্রধান বিজ্ঞানীর কার্যালয় বন্ধ করা হয়েছে। ক্যালভিন জাতিসঙ্ঘের জলবায়ু প্রতিবেদনে অবদান রাখেন। তাকে ও আরো কয়েকজন মার্কিন প্রতিনিধিকে গত মাসে চীনে একটি প্রধান জলবায়ু বিজ্ঞান সভায় যোগদান থেকেও বিরত রাখা হয়।

জানা গেছে, ট্রাম্পের মনোনীত নাসা প্রধান জ্যারেড আইজ্যাকম্যানের শেষ মুহূর্তের হস্তক্ষেপের কারণে নাসা এখনো পর্যন্ত অন্যান্য সংস্থাগুলোকে প্রভাবিত করে এমন ছাটাই এড়াতে পেরেছে। ই-পেমেন্ট বিলিয়নেয়ার ও স্পেসএক্স গ্রাহক জ্যারেড আইজ্যাকম্যানকে ট্রাম্পের মূল উপদেষ্টা ও ফেডারেল খরচ কমানোর প্রচেষ্টায় নেতৃত্বদানকারী ইলন মাস্কের ঘনিষ্ঠ হিসেবে দেখা হয়।

জলবায়ু গবেষণায় নাসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পৃথিবী পর্যবেক্ষণকারী উপগ্রহের একটি বহর পরিচালনা, বায়ুবাহিত ও স্থলভিত্তিক গবেষণা পরিচালনা, অত্যাধুনিক জলবায়ু মডেল তৈরিসহ গবেষক ও জনসাধারণকে ওপেন-সোর্স ডেটা সরবরাহ করার ক্ষেত্রে এটি ভূমিকা রাখে।

ট্রাম্প ইতোমধ্যেই জলবায়ু পরিবর্তনকে ‘জালিয়াতি কারবার’ বলে অভিহিত করেছেন এবং জাতিসঙ্ঘ ও জলবায়ু বিজ্ঞানের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ করে দ্বিতীয়বারের মতো প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

তার প্রশাসন দেশের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু সংস্থা ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনওএএ) শত শত কর্মচারীকে বরখাস্ত করেছে এবং আরো ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সূত্র : বাসস