কানাডা ও মেক্সিকোর অধিকাংশ পণ্যে শুল্ক আরোপ পিছিয়ে দিলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে দেয়া ভাষণে শুল্ক নিয়ে বিভ্রান্তির কথাটি স্বীকার করে ট্রাম্প বলেন, ‘শুল্ক হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রকে আবার ধনী করে তোলার প্রচেষ্টা, যুক্তরাষ্ট্রকে আবারো শক্তিশালী করা। একটু বিভ্রান্তি হবে কিন্তু আমরা ঠিক আছি। এটা এমন কিছু নয়।’

৫ মিলিয়ন ডলারে মার্কিন নাগরিকত্ব, ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প | ছবি - সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার অধিকাংশ মেক্সিকান ও কানাডিয়ান পণ্যের ওপর তার নতুন করে আরোপ করা ২৫ শতাংশ শুল্ক চার সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে দিয়েছেন।

মেক্সিকান সরকার যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন-প্রত্যাশীদের ঢল নিয়ন্ত্রণে এবং প্রাণনাশী মাদক ফেন্টানিল চোরাচালান বন্ধ করতে কিভাবে সাহায্য করেছে তা মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবামের কাছ থেকে সরাসরি জানার পর ট্রাম্প বৃহস্পতিবার মেক্সিকোর অধিকাংশ পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত চার সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে দেন।

ট্রাম্প তার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বলেন, শুল্কের ওপর এই ছাড় ২ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে। এছাড়াও ২০১৮ সালে হোয়াইট হাউসে তার প্রথম মেয়াদের সময়ে মেক্সিকো ও কানাডার সাথে যে বানিজ্য চুক্তি হয়েছিল তার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের যেসব কোম্পানি মেক্সিকোর পণ্য আমদানি করবে সেগুলোর ওপরও শুল্ক আরোপ করা হবে না।

কয়েক ঘণ্টা পর তিনি কানাডার ওপর নতুন করে আরোপ করা শুল্কও পিছিয়ে দেন।

এর আগে, বুধবার মেক্সিকো ও কানাডাতে প্রস্তুত যে সব গাড়ি যুক্তরাষ্ট্রে চালান করা হচ্ছে সেগুলোর ওপর আরোপ করা শুল্ক এক মাস পর্যন্ত স্থগিত করেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক বার্তায় বলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট শেইনবামের প্রতি শ্রদ্ধাবশত এবং সহায়তা করার জন্য মেক্সিকান পণ্যের ওপর শুল্কের ছাড় দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক খুব ভালো। আমরা যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ বিদেশীদের এবং একইভাবে ফেন্টানলের প্রবেশ থামাতে সীমান্তে কঠিন পরিশ্রম করে যাচ্ছি।’

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে শেইনবাম বলেন, ‘আমরা সম্মত হয়েছি যে আমাদের কাজ ও সহযোগিতার ফলে আমাদের স্বায়ত্ত্বশাসনের প্রতি সম্মানের পরিকাঠামোর মধ্যেই আমরা অভূতপূর্ব সুফল পেয়েছি।’

পরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বৃহস্পতিবারের ফোনালাপের সময়ে ট্রাম্প প্রথমে তার শুল্ক বহাল রাখতে চেয়েছিলেন।

তবে শেইনবাম বলেন, তিনি গত মাসে তার কিছু সাফল্যের দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন, যেমন মেক্সিকো কিভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানলের পাচার কমিয়ে এনেছে এবং মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষ কিভাবে ২৯টি শীর্ষ ও সংগঠিত মাদক চোরাচালানিদের যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিয়েছে। এই অপরাধীদের যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা চাইছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে মাদক দ্রব্যের চোরাচালান ও অভিবাসন-প্রত্যাশীদের ঢল থামাতে তিনি মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে ১০ হাজার সৈন্যও পাঠিয়েছেন।

মঙ্গলবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে দেয়া ভাষণে শুল্ক নিয়ে বিভ্রান্তির কথাটি স্বীকার করে ট্রাম্প বলেন, ‘শুল্ক হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রকে আবার ধনী করে তোলার প্রচেষ্টা, যুক্তরাষ্ট্রকে আবারো শক্তিশালী করা। একটু বিভ্রান্তি হবে কিন্তু আমরা ঠিক আছি। এটা এমন কিছু নয়।’

সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা