ইংরেজিকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভাষা হিসেবে ট্রাম্পের মনোনয়ন
নির্বাহী আদেশে বলা হয়, ’একটি ঐক্যবদ্ধ ও সুসংহত সমাজের মূলে রয়েছে জাতীয়ভাবে মনোনীত একটি ভাষা। একটি সুনির্দিষ্ট ভাষায় স্বাধীনভাবে ভাব বিনিময়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা জাতীয় মূল্যবোধকে শক্তিশালী করবে এবং আরো সুসংহত ও দক্ষ সমাজ গঠন করবে।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার ইংরেজিকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভাষা হিসেবে মনোনীত করেছেন। ইংরেজিকে সরকারি ভাষা করার মাধ্যমে তা যুক্তরাষ্ট্রে সংহতি বয়ে আনবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
হোয়াইট হাউস প্রকাশিত ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, অনেক দিন আগে থেকেই ইংরেজিকে দেশের দাফতরিক ভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
আদেশে বলা হয়, ‘একটি ঐক্যবদ্ধ ও সুসংহত সমাজের মূলে রয়েছে জাতীয়ভাবে মনোনীত একটি ভাষা। একটি সুনির্দিষ্ট ভাষায় স্বাধীনভাবে ভাব বিনিময়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা জাতীয় মূল্যবোধকে শক্তিশালী করবে এবং আরো সুসংহত ও দক্ষ সমাজ গঠন করবে।’
এই আদেশটি ১৯৯০-এর দশকে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের আমলে নেয়া আদেশটি রদ করেছে। সে সময় ফেডারেল সংস্থা ও ফেডারেল তহবিল প্রাপ্ত সংস্থাগুলোকে অ-ইংরেজি ভাষাভাষীদের সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
তবে নতুন আদেশে বলা হয়, ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষায় কতটা সাহায্য প্রদান করা হবে তা নির্ধারণ করবে সংস্থাগুলো।
নির্বাহী আদেশে বলা হয়, ‘এই আদেশের কোনো কিছুই কোনো সংস্থার পরিষেবাগুলোতে কোনো পরিবর্তনের নির্দেশ দেয় না।’
এতে আরো বলা হয়, সংস্থা প্রধানদের ‘তাদের নিজ নিজ সংস্থার লক্ষ্য পূরণ ও মার্কিন জনগণকে দক্ষতার সাথে সরকারি পরিষেবা দেয়ার জন্য কী প্রয়োজন তা নির্ধারণ করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।’
ট্রাম্প তার ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম সপ্তাহেই দেশটিতে একগুচ্ছ নির্বাহী আদেশ জারি করেন। তার অনেক আদেশই আদালত স্থগিত করে।
যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫০ টিরও বেশি ভাষায় কথা বলা হয়।
তবে আদেশে বলা হয়, ‘ইংরেজি আমাদের প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই প্রচলিত রয়েছে এবং আমাদের জাতির ঐতিহাসিক পরিচালনা দলিল। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ও সংবিধানসহ সবই ইংরেজিতে লেখা হয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রে ইংরেজি সংখ্যাগরিষ্ঠ ভাষা। কিন্তু ২০১৯ সালের মার্কিন সরকারের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রায় ছয় কোটি ৮০ লাখ মানুষ বাড়িতে ইংরেজি ছাড়া অন্য কোনো ভাষায় কথা বলে। অনুমান করা হয় আমেরিকার চার কোটির বেশি মানুষ বাড়িতে স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলে।
চীনা ও ভিয়েতনামীসহ অন্যান্য অভিবাসী গোষ্ঠী ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকটি স্থানীয় আমেরিকান ভাষা রয়েছে।
সূত্র : বাসস