ইকুয়েডরে বন্দুকযুদ্ধে ১২ জন নিহত
কলম্বিয়া ও পেরুর মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত বিশ্বের শীর্ষ কোকেন উৎপাদনকারী দেশ ইকুয়েডরে আনুমানিক ২০টি অপরাধী দল মাদক পাচার, অপহরণ এবং চাঁদাবাজির সাথে জড়িত। এক কোটি ৮০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে দলগুলো ভয়াবহ সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে।

ইকুয়েডরের গোলযোগপূর্ণ বন্দর নগরী গুয়াকুইলে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাদক পাচারকারী চক্রের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছে।
আজ শুক্রবার দেশটির কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে গুয়াকুইল থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান হার্বি গুয়ামানি নিহতের এই সংখ্যা জানান।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, লস টাইগারোনেস নামক একটি শক্তিশালী মাদক পাচারকারী দলের সাথে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী দলের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হয়।
কলম্বিয়া ও পেরুর মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত বিশ্বের শীর্ষ কোকেন উৎপাদনকারী দেশ ইকুয়েডরে আনুমানিক ২০টি অপরাধী দল মাদক পাচার, অপহরণ এবং চাঁদাবাজির সাথে জড়িত। এক কোটি ৮০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে দলগুলো ভয়াবহ সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইকুয়েডর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে কোকেন পাঠানোর জন্য গুয়াকুইলের এই বন্দরটি ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে করে আন্তর্জাতিক কার্টেলগুলো দ্রুত বিস্তার লাভ করার ফলে দেশটি সহিংসতায় নিমজ্জিত হয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, ২০১৮ সালে প্রতি এক লাখ বাসিন্দার মধ্যে ছয়টি হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা রেকর্ড ৪৭টিতে পৌঁছেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দেশটিতে গ্যাংগুলো ক্রমাগত শক্তিশালী হয়ে উঠছে।
সাতটি প্রদেশের অন্যতম গুয়ায়াসের রাজধানী গুয়াকুইলে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সরকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। গত দু’মাস ধরে সেখানে জরুরি অবস্থা অব্যাহত রয়েছে।
গত মাসে প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া বলেন, ‘তিনি এই লড়াইয়ে সহায়তা করার লক্ষ্যে মিত্র দেশগুলোকে বিশেষ বাহিনী পাঠাতে বলবেন। ১৩ এপ্রিল ইকুয়েডরে চলমান সহিংসতার ভেতর দিয়ে দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। যেখানে নোবোয়ার মুখোমুখি হবেন বামপন্থী লুইসা গঞ্জালেজ।’ সূত্র : বাসস