ট্রাম্প টেসলা কিনলেও তা চালাতে পারবেন না রাস্তায়!

টেসলার সিইও ইলন মাস্ক সম্প্রতি রাজনৈতিকভাবে সমালোচনা এবং আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মঙ্গলবার বলেন, তিনি তার কোম্পানির কাছ থেকে একটি টেসলা গাড়ি কিনবেন। এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট তার সবচেয়ে শক্তিশালী উপদেষ্টাকে সমর্থনের একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
304
হোয়াইট হাউসের সামনে ইলন মাস্কের পাশে দাঁড়িয়ে মিডিয়ার সাথে কথা বলছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প | ছবি : সংগৃহীত

নতুন একটি ঝকঝকে লাল টেসলা গাড়ি কিনলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কেনার সময়ই তিনি বলেছেন, তিনি এ গাড়ি চালাবেন না।

তিনি মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বলেন, ‘আমি একটি কিনতে যাচ্ছি, কিন্তু খারাপ খবর হলো আমার গাড়ি চালানোর অনুমতি নেই।’

এর কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের রাস্তায় গাড়ি চালানোর অনুমতি নেই। নিরাপত্তার বিবেচনায় এই নিয়ম করা হয়েছে। রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সুরক্ষার জন্য এই নিয়ম জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট সার্ভিস। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও তাদের পরিবারের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকে এই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ট্রাম্প কেন টেসলা কিনলেন?

টেসলার সিইও ইলন মাস্ক সম্প্রতি রাজনৈতিকভাবে সমালোচনা এবং আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মঙ্গলবার বলেন, তিনি তার কোম্পানির কাছ থেকে একটি টেসলা গাড়ি কিনবেন। এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট তার সবচেয়ে শক্তিশালী উপদেষ্টাকে সমর্থনের একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।

মাস্ক গত বছর ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন এবং ট্রাম্পের এই মেয়াদের প্রশাসনে তিনি একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে ফেডারেল সরকারের ব্যয় সংকোচনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট মঙ্গলবার বলেন, ‘সত্যিকার মহান আমেরিকান ইলন মাস্কের প্রতি আস্থা ও সমর্থন প্রদর্শন হিসেবে তিনি একটি নতুন টেসলা কিনতে যাচ্ছেন।’

শেয়ার বাজারে টেসলার স্টক মূল্যের পতন হওয়াতে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে কোম্পানিটি।

ট্রাম্প কি আর কখনই গাড়ি চালাতে পারবেন না?

২০২৩ সালের কনজিউমার অ্যাফেয়ার্সের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে প্রায় দুই কোটি ৪৩ লাখ মানুষের।

কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বা অন্যান্য সাবেক প্রেসিডেন্টদের এক সময় ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে তাদের আর গাড়ি চালানোর অনুমতি থাকে না।

সিক্রেট সার্ভিসের উচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অ্যাজেন্টরা গাড়ি চালান আর প্রেসিডেন্ট বা সাবেক প্রেসিডেন্ট সেই গাড়িতে চলাফেরা করেন। যদিও এই বিষয়ে কোনো আইন নেই, তাদের নিরাপত্তার জন্যই এই ব্যবস্থা।

খুব যদি ইচ্ছে করে চালাতে তাহলে বাড়ির কম্পাউন্ডের ভেতরে চালাতে পারবেন, যেমন চালিয়েছেন অবসর নেয়ার পর রনাল্ড রেগ্যান বা জর্জ ডব্লিউ বুশ তাদের র‍্যাঞ্চে।

ইতিহাসবিদ এবং টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এইচ ডব্লিউ ব্র্যান্ডস সিয়াটল টাইমসকে বলেছে, লিন্ডন জনসন সম্ভবত শেষ প্রেসিডেন্ট যিনি প্রধান একটি সড়কে নিজে গাড়ি ড্রাইভ করেন।

সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা