গুয়াতেমালায় ফের অগ্ন্যুৎপাত, জনসাধারণকে নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তর
অগ্ন্যুৎপাতের ফলে আগ্নেয়গিরির ছাই সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাত হাজার মিটার উচ্চতায় পৌঁছেছে। এটি প্রায় ৫০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম, পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে বিস্তৃত হয়েছে।

গুয়াতেমালার আগ্নেয়গিরি ভলকানো দে ফুয়েগোর অগ্ন্যুৎপাত তীব্র হয়ে উঠেছে। আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা, ছাই ও পাথর উদগীরণ শুরু হওয়ায় গুয়াতেমালার কর্তৃপক্ষ সোমবার (১০ মার্চ) সেখানকার অন্তত ২৮২টি পরিবারকে সরিয়ে নিয়েছে।
গুয়াতেমালা শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত এই আগ্নেয়গিরিটি সাকাতেপেকেজ, এসকুইন্টলা ও চিমালতেনাঙ্গো অঞ্চলের মধ্যবর্তী স্থানে রয়েছে। রোববার রাতে অগ্ন্যুৎপাত তীব্র হতে শুরু করে। ফলে আকাশে ঘন ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা দেয়।
জাতীয় দুর্যোগ প্রতিরোধ সংস্থা জানিয়েছে, অগ্ন্যুৎপাতের ফলে আগ্নেয়গিরির ছাই সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাত হাজার মিটার উচ্চতায় পৌঁছেছে। এটি প্রায় ৫০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম, পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে বিস্তৃত হয়েছে। সংস্থাটি একটি সংস্থাগত কমলা সতর্কতা ঘোষণা করেছে। এই সতর্কতা স্থানীয় মেয়র ও গভর্নরদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রেখে প্রতিরোধমূলক ও প্রতিক্রিয়ামূলক পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়তা করে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, আগ্নেয়গিরির ছাই পড়ার আশঙ্কায় ৯০০ জনেরও বেশি মানুষকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থার আওতায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে এবং আরো ৩০ হাজার মানুষ ঝুঁকির মধ্যে থাকতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। এরই মধ্যে চারটি পৌর এলাকায় বিদ্যালয়ের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
গুয়াতেমালার ৩২টি আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরির একটি ভলকানো দে ফুয়েগো। ৫০ দিনের নিষ্ক্রিয়তার পর তিন হাজার ৭৬৩ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট এই আগ্নেয়গিরিটি আবারো সপ্তাহের শেষে অগ্ন্যুৎপাত শুরু করে।
এর সর্বশেষ বড় অগ্ন্যুৎপাতটি ঘটেছিল ২০১৮ সালের জুনে। সে সময় ৪০০ জনেরও বেশি লোকের প্রাণহানি ঘটেছিল।
সূত্র : আনাদোলু অ্যাজেন্সি