পূর্ব কঙ্গোতে হাসপাতালের ১৩০ রোগীকে অপহরণ করল বিদ্রোহীরা

বিদ্রোহীরা কঙ্গোর সেনাবাহিনীর সৈন্য অথবা সরকারপন্থী ওয়াজালেন্দো মিলিশিয়ার সদস্য সন্দেহে দুটি হাসপাতাল সিবিসিএ থেকে ১১৬ জন এবং হিল আফ্রিকা থেকে আরো ১৫ জন রোগীকে ধরে নিয়ে যায়।

পূর্ব কঙ্গোতে হাসপাতালের ১৩০ রোগীকে অপহরণ করল বিদ্রোহীরা
এম২৩ বিদ্রোহীরা পূর্ব কঙ্গোর দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বুকাভুর কেন্দ্রে প্রবেশ করছে | ছবি - সংগৃহীত

রুয়ান্ডা সমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহীরা পূর্ব কঙ্গোর একটি প্রধান শহরের দুটি হাসপাতাল থেকে কমপক্ষে ১৩০ জন অসুস্থ ও আহত পুরুষকে অপহরণ করেছে বলে সোমবার জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘ।

জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার অফিসের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি এক বিবৃতিতে জানান, ২৮ ফেব্রুয়ারি এম২৩ যোদ্ধারা গোমার সিবিসিএ এনডোশো হাসপাতাল ও হিল আফ্রিকা হাসপাতালে অভিযান চালায়। এ বছরের শুরুতে তারা ওই গুরুত্বপূর্ণ শহরটি দখল করেছিল।

বিদ্রোহীরা কঙ্গোর সেনাবাহিনীর সৈন্য অথবা সরকারপন্থী ওয়াজালেন্দো মিলিশিয়ার সদস্য সন্দেহে দুটি হাসপাতাল সিবিসিএ থেকে ১১৬ জন এবং হিল আফ্রিকা থেকে আরো ১৫ জন রোগীকে ধরে নিয়ে যায়।

শামদাসানি তাদের অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে এম২৩ সমন্বিত অভিযান চালিয়ে হাসপাতালের বিছানা থেকে রোগীদের ছিনিয়ে নিচ্ছে এবং অজ্ঞাত স্থানে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখছে।’

বছরের শুরু থেকেই এম২৩ বিদ্রোহীরা পূর্ব কঙ্গো জুড়ে আক্রমণ চালিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো দখল করেছে। এ সময় তারা প্রায় তিন হাজার মানুষকে হত্যা করেছে, যা এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সংঘাতের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি।

তিন সপ্তাহের এক আকস্মিক আক্রমণে এম২৩ পূর্ব কঙ্গোর প্রধান শহর গোমার নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বুকাভু দখল করে। এ অঞ্চলটি স্বর্ণ ও কোল্টানে সমৃদ্ধ, যা ল্যাপটপ ও স্মার্টফোনের মতো ইলেকট্রনিক্সে ব্যবহৃত ক্যাপাসিটর উৎপাদনের একটি মূল উপাদান।

সূত্র : এপি নিউজ