ইন্দোনেশিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জাতিসঙ্ঘের সহায়তা পুনর্বহাল

ইন্দোনেশিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা তহবিল কমানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে জাতিসঙ্ঘের অভিবাসন সংস্থা। দেশটিতে সংস্থাটির শীর্ষ এক কর্মকর্তা মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপি’কে এ তথ্য জানান।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
Untitled-1
ইন্দোনেশিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জাতিসঙ্ঘের সহায়তা পুনর্বহাল | সংগৃহীত

ইন্দোনেশিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা তহবিল কমানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে জাতিসঙ্ঘের অভিবাসন সংস্থা। দেশটিতে সংস্থাটির শীর্ষ এক কর্মকর্তা মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপি’কে এ তথ্য জানান।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈদেশিক সহায়তা তহবিল স্থগিত ঘোষণার কয়েক দিন পর ইন্দোনেশিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য তহবিল কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় জাতিসঙ্ঘের অভিবাসন সংস্থা।

মিয়ানমারে নির্যাতিত হয়ে প্রতি বছর হাজারো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘ ও বিপজ্জনক সমুদ্র যাত্রায় মালয়েশিয়া অথবা ইন্দোনেশিয়ায় পাড়ি দেয়।

এএফপি’র হাতে আসা ২৮ ফেব্রুয়ারি ইস্যুকৃত আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) চিঠিতে বলা হয়, সুমাত্রার পশ্চিম দ্বীপের পেকানবারু শহরে প্রায় এক হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য সহায়তা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।

তবে ইন্দোনেশিয়ায় আইওএম-এর মিশন প্রধান জেফ্রি ল্যাবোভিটজ এএফপি’কে জানিয়েছে, ‘কোনো কারণ ছাড়াই তহবিল কমানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। মানবিক সহায়তা প্রদান করতে বৃহৎ কর্মসূচি পুনরায় চালু করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, বর্তমানে এই পরিষেবাগুলো কমানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।’

সংস্থাটি ই-মেইলে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছে, অতীতের ধারাবাহিকতায় ইন্দোনেশিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের কোনো দেশই স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দিচ্ছে না। ফলে ইন্দোনেশিয়ায় আশ্রয় নেয়া দুই হাজারের বেশি রোহিঙ্গা আইনি অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। আশ্রয় ও সাহায্যের জন্য তাদের জাতিসঙ্ঘের সহায়তা তহবিলের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

আইওএম গত সপ্তাহে বলেছে, মার্কিন সহায়তা স্থগিতের ঘোষণা আমাদের কর্মী, কার্যক্রম ও আমরা যাদের সেবা করি, তাদের ওপর প্রভাব ফেলছে।

এ বিষয়ে এএফপি জাকার্তায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসকে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ জানালে তারা তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।

ইন্দোনেশিয়া জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ নয়। দেশটি বলেছে, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত শরণার্থীদের গ্রহণে তাদের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। বরং তারা প্রতিবেশী দেশগুলোকে তাদের তীরে আসা রোহিঙ্গাদের বোঝা ভাগ করে নেয়ার ও পুনর্বাসনের আহ্বান জানিয়েছে।

সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ওয়াশিংটন উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি’র ৫ হাজার ২ শ’টি কর্মসূচি বাতিল করছে। তবে এক হাজার কর্মসূচি পররাষ্ট্র দফতরের অধীনে থাকবে।

সহায়তাকারী গোষ্ঠীগুলো যুক্তি দেখান, বিদেশে স্থিতিশীলতা ও স্বাস্থ্য উন্নয়নে বেশিভাগ সহায়তা মার্কিন স্বার্থকে সমর্থন করে।

সূত্র : এএফপি