দিরিলিসের দৃশ্যায়নে বাংলাদেশী নাশিদ, উচ্ছ্বসিত ভক্তরা

দেশের ইসলামী সঙ্গীতাঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করল ‘ব্লাড আইডেন্টিটি’। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল নাশিদ হিসেবে এরই মধ্যে এটিকে দারুণভাবে গ্রহণ করেছেন ভক্তরা।

দিরলিসের দৃশ্যায়নে বাংলাদেশী নাশিদ
দিরলিসের দৃশ্যায়নে বাংলাদেশী নাশিদ | ছবি : নয়া দিগন্ত

দেশের ইসলামী সঙ্গীতাঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করল ‘ব্লাড আইডেন্টিটি’। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল নাশিদ হিসেবে এরই মধ্যে এটিকে দারুণভাবে গ্রহণ করেছেন ভক্তরা।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে নাশিদটি মুছলেহ উদ্দিন আখন্দের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ‘muslah’ ও অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ করা হয়।

জনপ্রিয় তুর্কি সিরিজ দিরিলিস ও ‍কুরুলুসের আদলে দৃশ্যায়িত করায় এটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

নাশিদটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন সময়ের আলোচিত মুখ ইসলামী শিল্পী মুছলেহ উদ্দিন আখন্দ এবং ভিডিও পরিচালনায় ছিলেন এইচ আল হাদী। নাশিদটির লিরিক লিখেছেন সাইয়েদ এনায়েত তানভির। সুর করেছেন এইচ আহমেদ। অডিও প্রোডাকশনে ছিলেন পারভেজ জুয়েল আর সিনেমাটোগ্রাফিতে ছিলেন নাবিল মোস্তফা।

ব্যতিক্রমী নাশিদটি নিয়ে শিল্পী মুছলেহ উদ্দিন আখন্দ বলেছেন, এর ভিডিও নির্মাণে মুসলিম ঐতিহ্যের স্পষ্ট ছোঁয়া রাখতে চেষ্টা করা হয়েছে। একইসাথে এতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ইসলামী চেতনা, বীরত্ব ও আত্মত্যাগের বার্তা। ব্যয়বহুল এই ভিডিওতে সিনেমাটিক ভিজ্যুয়াল, উন্নতমানের সিনেমাটোগ্রাফি ও গ্রাফিক্স ব্যবহার করা হয়েছে, যা বাংলাদেশে ইসলামী সঙ্গীতের ক্ষেত্রে নতুন এক দিগন্ত।

নাশিদ সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র দাবি করেছে, ‘ব্লাড আইডেন্টিটি’ বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ইসলামী সঙ্গীত ভিডিও। তারা মনে করছেন, এটি ইসলামী সঙ্গীতের প্রচলিত ধারা বদলে দিতে পারে এবং আন্তর্জাতিক মানের নাশিদ তৈরির পথ সুগম করবে।

এ সংক্রান্ত বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ‘ব্লাড আইডেন্টিটি’র মতো উদ্যোগ বাংলাদেশে ইসলামী সঙ্গীতকে আরো আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করে তুলতে পারে। যদি এই ধারা বজায় থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বমানের নাশিদ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে একজন ভক্ত লিখেছেন, বাংলাদেশের ইসলামী সঙ্গীত জগতে ‘ব্লাড আইডেন্টিটি’ নতুন যুগের সূচনা করল। তিনি ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরো অনেকে নাশিদটির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

নাশীদটি ইতোমধ্যে দেশব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।